অবিচল ধীরচিত্তের এক
সংগ্রামী ব্যক্তিত্বের নাম জেরেমি করবিন" />
হারুনূর রশীদ: বুধবার, ১০ই আগষ্ট ২০১৬।।
শ্রমিকদল নেতা করবিন আবারো বলেছেন তার ক্ষমতার উৎস দলের সদস্যগন। বর্তমানে তিনি ওয়েন স্মিতের মোকাবেলায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। করবিন নেতৃত্বকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ছায়া মন্ত্রীসভা থেকে স্বইচ্ছায় পদত্যাগি সদস্য ওয়েন স্মিত এখন দলের নেতৃত্বে আসীন হবার খায়েশ করে করবিনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। যদিও তিনি মাত্র ২৪টি কমিটির সমর্থনে এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিপরীতে করবিনের পক্ষে রয়েছে শতাধিক সংসদীয় কমিটি। বিগত নেতা নির্বাচনে করবিন মোট ১২০টি সংসদীয় শাখা কমিটির সমর্থন পেয়ে অনেকটা একচেটিয়াভাবে নেতৃত্বে আসীন হন।
বাম রাজনৈতিক নীতিতে অবিচল ধীরচিত্তের এক সংগ্রামী ব্যক্তিত্বের নাম জেরেমি করবিন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে জীবনের শেষ লগ্নে একমাত্র নিজ সততা, অধ্যবসায় আর আদর্শের প্রতি নিষ্ঠার কারণে দলের লক্ষাধিক সদস্যের অফুরান ভালবাসা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হন। নির্বাচিত হন শ্রমিক দলের নেতা। তার নেতৃত্বে আসীন হবার সাথে সাথেই ভন্ড ডান রাজনীতিকরা তার পেছনে লেলিয়ে দেয় তাদের ভাড়াটে সংবাদ মাধ্যমগুলিকে। শুরু হয় করবিন চরিত্রের কঠোর সমালোচনা। বৃটেনের রাজনীতির ইতিহাসে অন্ততঃ বিগত দুই দশক সময়ে এতো কঠোর আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়নি আর কেউ। বিভিন্ন নমুনায় তার পদস্খলনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পঁচে যাওয়া দূর্গন্ধময় ডান রাজনীতির ধারকেরা। তাকে পরাস্ত করার কলাকৌশল দেখলে পাগলেও হাসবে বৈকি। এই কিছুদিন আগেও “হাফিংটন পোষ্ট, ইউকে” তাকে জিজ্ঞেস করে যে আগামী নির্বাচনে, যে নির্বাচন হতে এখনও প্রায় ৪ বছর বাকী, দল হেরে গেলে তিনি দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাড়াবেন কি-না? করবিনতো আর তথাকথিত ভূঁইফোড় রাজনীতিক নন। শত্রুর মুখে ছাঁই দিয়ে জবাব দিয়েছেন উপযুক্ত! বলেছেন যে আগামী নির্বাচনে দল হেরে গেলেও দলের অধিকাংশ সদস্যগন চাইলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তিনি নেতা হিসাবে থাকতে পারবেন। তিনি আরও বলেছেন যে ওই নির্বাচনের এখনওতো চার বছর বাকী। এখনতো দলীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছি। আর এ কাজ করতে আমি ভালবাসি। একাজে আমি সারা বৃটেন চষে বেড়াচ্ছি। গেল বারের চেয়ে এদফায় আমরা একটু ভিন্নভাবে কাজ করছি। গেল দফায় যেসব জায়গায় যাইনি এবার সেসব জায়গায় যাচ্ছি। আমরা সেই সব মানুষের কাছে যাচ্ছি রক্ষনশীলরা যাদের অনেক অনেক পেছনে রেখে দিয়েছিল। কেমন দেখেন না, সভায় বিশাল সংখ্যায় মানুষের উপস্থিতি।
বিগত ইইউ নির্বাচনে দূরাচার ধনিক রক্ষনশীলদের শ্রেণীস্বার্থ রক্ষার কারসাজিতে আন্তর্জাতিকতাবাদী রক্ষনশীলদের সাথে শ্রমিকদলও পরাজিত হয়। নির্বাচনি ফলাফল, ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে চলে যায়। কিন্তু পরক্ষনেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় দু’টি নির্বাচনে শ্রমিক দল বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। করবিনের ভরসা সেখানেই। আর তাই গেল সপ্তাহে করবিন দেশের ভবিষ্যৎ করণীয় লক্ষ্য করে তার ১০দফা কর্মসূচীর প্রস্তাবনা রেখেছেন। যেখানে শুধু স্বপ্নই নয় বাস্তবে পূর্ণাঙ্গ কাজের ব্যবস্থার পাশাপাশি ১মিলিয়ন নতুন কাজের ব্যবস্থা করার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। (গার্ডিয়ান অনুসরণে)