লন্ডন: সরকার বিনিয়োগের বিষয়ে যতই উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে দেশে অভ্যন্তরীন বিনিয়োগ সে পরিমাণে হচ্ছে না। কতিপয় মুদ্রাপাচারকারী ব্যাপকভাবে বিদেশে মুদ্রাপাচার অভ্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক সুইচ ব্যাংকের এক তথ্যে কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কোনো বাংলাদেশি তার নাগরিকত্ব গোপন রেখে টাকা জমা করল তার কোন তথ্য এই প্রতিবেদনে ছিল না। যুগান্তর এ খবর প্রকাশ করেছে।
পত্রিকাটি লিখেছে, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) এক বছরে বাংলাদেশি সঞ্চয় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশিদের সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ১৯ লাখ ফ্র্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৬শ কোটি টাকা (প্রতি সুইস ফ্র্যাংক ৮৫ টাকা হিসাবে)।
আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে তা ছিল ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এ হিসেবে এক বছরে বেড়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগ না হওয়ায় পুঁজি পাচার হচ্ছে। আলোচ্য সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আমানত কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে ২০১৬ সালে মোট আমানতের পরিমাণ কমেছে। আমানত রাখার ক্ষেত্রে এ বছরও প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।