সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার।।
সংসদ, জেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় সবক’টি নির্বাচনই দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে হয়। বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী দলীয় প্রতীক নিয়ে এবং সতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী? দলের সাথে বিদ্রোহ করে, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে আবার দলের পরিচয় বহন করে কেমন করে বিদ্রেহী প্রার্থী হয়? নির্বাচন আসলেই এই ধরনের লাগামহীন কথিত বিদ্রোহ তথা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবজ্ঞা করা দলীয় শৃংখলার পরিপন্তি যার ফলে দলে আদর্শহীন কাউয়া, অনুপ্রবেশ কারী ও সন্ত্রাসীদের প্রধান্য উদ্বেগজনক। দলকে সুসংগঠিত করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ বা সহযোগি সব সংগঠনে শুদ্ধি অভিযান জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন মনে করি।
দেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের, উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের, পৌরসভার মেয়র আওয়ামীলীগের, সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী আওয়ামীলীগের। তাহলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কথিত তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদ-পদবী, নির্বাচনে ইচ্ছুক প্রার্থী ইত্যাদি এতো দ্বন্ধ, সংঘাত, গ্রুপিং এত দুর্দশা কেন?
অনেকেই বলেন অমুক ভাই তমুক ভাই আওয়ামী লীগকে শুধু দিয়ে গেলেন, আওয়ামী লীগ কিছু দেয় নাই। আওয়ামী লীগ যদি কিছু না দিত তাহলে তিনি অমুক ভাই তমুক ভাই হইতেন না-কি? অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের মতো কোটি কোটি মানুষ আছে কেউ নামও জানেন না। ভাইয়েরা আওয়ামী লীগ করছেন বলেই আমরা অমুক ভাই তমুক ভাই বলি এতো সম্মান এতো ইজ্জত। আওয়ামী লীগ না করলে তুমি, আমি আমরা তাকে জিজ্ঞেস করতাম না তার পরেও কি বলবেন ভাই শুধু দিয়ে গেলেন কিছু পাইলেন না!
রাজনীতি, কারা করেন? কেন করেন? কেন একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য হবেন? রাজনীতি আমাকে আপনাকে দেওয়ার কি আছে? বিভিন্ন নির্বাচিত পদে নমিনেশন?? কোন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে।
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বনান বিদ্রোহী প্রার্থী!
|
রাজনীতি “একটি আদর্শ ভিত্তিক সমাজ সেবা” কিন্ত এখনকার রাজনীতি আর সমাজসেবা বা জনসেবা নয় একটি পেশায় অন্য কথায় ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছে লোভ জনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে, তাইতো আর রাজনৈতিক নেতাকর্মী, দলীয় পদ পদবীতে সন্তুষ্ট নয়- চাই নির্বাচিত পদবী, এম পি, জেলাপরিষদ, উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ইত্যাদি।
অনেক রাজনিতীবিদ আছেন যারা সাড়া জীবনেও এ দলের সাধারণ সদস্য পদ নেয় নাই বা পায় নাই; আওয়ামী লীগ করে মারা গেছেন, রাজনৈতিক দল একজনকে কর্মী/নেতার পরিচয় দিল এইটাইত সবচাইতে বড় পাওয়া। সমাজ-জনসেবার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম রাজনীতি, সমাজ পরির্বতনের হাতিয়ার রাজনীতি।
একটা দল তার দলের কর্মী বা নেতা হিসেবে আপনাকে/আমাকে গ্ৰহনকরে নেওয়া হল বড় পাওয়া। এখন তুমি-আমি কিংবা তোমাকে-আমাকে তৈরি করতে হবে। অমুক ভাই দলকে দিলেন আর তমুক ভাইকে দল কিছু দিল না। দলের কারনেই যে আজ তিনি অমুক ভাই তমুক ভাই এগুলো সবই নিঃস্বার্থ সমাজ সেবাখাত এই সুস্থ রাজনিতির পরিপন্তি। কিছু অবান্তর কথাবার্তা।
অযোগ্য অপদার্থদের দিয়ে কোন রাজনৈতিক দল কমিটি গঠন করা মানে একটি সিন্ডিকেঠ তৈরি করে দেওয়া, এরা একদল, একজন আরেকজনের অনিতকেলাহল্ ব্যস্ত, আবার দেখবেন নিজেদের বেলায় পদ-পদবী যাহাতে না হারাতে হয় তখন এরা এক হয়ে একাকার, এই সব দলীয় সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে দেশ ও বিদেশে নেত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা করা কঠিন।
এরা রাজনৈতিক কর্মী/নেতা নয়, এই গুলো একেকটি অযোগ্য অপদার্থ একেকটি সিন্ডিকেট হয়ে দাঁড়িয়েছে, আওয়ামী লীগের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে হলে এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। তাই প্রতিটি কমিটি গঠন করতে হবে প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য স্বীকার কারীকে সঙ্গে করে।
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ বা সহযোগি সব সংগঠনে শুদ্ধি অভিযান জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।
*জয় বাংলা *জয় বঙ্গবন্ধু *জয়তু শেখ হাসিনা।
|