1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আগুনে ২টি বাসা ভস্ম, চাষীদের মানববন্ধন ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল - মুক্তকথা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন

আগুনে ২টি বাসা ভস্ম, চাষীদের মানববন্ধন ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল

কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি॥
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৫০ পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জে গ্যাসের রাইজার থেকে অগ্নিকান্ডে ২টি বাসা ভস্মিভূত,

অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারের সবুজবাগ এলাকায় গ্যাসের রাইজার থেকে অগ্নিকান্ড ভস্মিভূত হয়েছে দুইজন ব্যবসায়ীর বসতঘর। সোমবার (২৪ জুলাই) ভোর ৬টায় গ্যাসের রাইজার থেকে এ অগ্নিকা-ের সুত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অগ্নিকান্ডে ২ ব্যবসায়ীর নগদ অর্থসহ ছয়টি কক্ষের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ভুক্তভোগীরা হলেন-শমশেরনগর বাজারের ডলি সু ষ্টোরের মালিক বাচ্চু শেখ ও তার ভাই সাচ্চু শেখ। ওই দুটি পরিবার এখন সর্বস্বহারা। দুটি পরিবারে এখন চলছে কান্নার রোল।

স্থানীয়রা জানান, শমশেরনগর বাজারের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় ত্রুটিযুক্ত গ্যাস লাইন থেকে বের হওয়া গ্যাসে সৃষ্ট আগুনে ২ ব্যবসায়ীর বসতঘরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা দু’জনই সহোদর ও একই সীমানার ভিতর পাশাপাশি বসতঘরে বসবাস করেন। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

সকাল ৭টায় সরেজমিন গেলে এলাকাবাসী জানান, ব্যবসায়ী বাচ্চু শেখ ও সাচ্চু শেখদের বাসার গ্যাসের রাইজার লিক হয়ে কিছু দিন ধরে গ্যাস বের হচ্ছিল। তারা সঠিকভাবে তা মেরামত না করায় সোমবার ভোরে রাইজারের বের হওয়া গ্যাস থেকে প্রথমে সামনের ঘরে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর বাসার লোকজন নিরাপদে বের হলেও দ্রুত আগুন দুটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দুটি বসতঘরের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল মিলিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ভোর ৬ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

 

 

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাচ্চু শেখ ও সাচ্চু শেখ বলেন এ অগ্নিকা-ের ঘটনায় তাদের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি জিনিসও রক্ষা করতে পারেননি। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন সঠিকভাবে কিছু বলতে না পারলেও ধারণা করছেন নগদ টাকাসহ কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদেরকে আবার নতুন করে বসত ঘর সাজাতে হবে।
এলাকাবাসী এখলাছ আহমদ হায়দরী, টিটু মিয়া বলেন, গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটলে ঘুমন্ত অবস্থায় অনেকেই মারা যেতেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফারুকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্যাস লাইন লিক হয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শমশেরনগর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বসত ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: রইছ রেজুয়ান বলেন, আগুনে শমশেরনগর বাজারের দুইজন ব্যবসায়ীর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

উৎপাদিত ধান বীজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি

কমলগঞ্জে চুক্তিবদ্ধ চাষীদের মানববন্ধন ও ডিসি’র কাছে আবেদন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উৎপাদিত ধান বীজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) এর চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। বিএডিসি চুক্তিবন্ধ চাষী সমিতি কমলগঞ্জের উদ্যোগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন প্রদান করা হয়।

বিএডিসি চুক্তিবদ্ধ চাষী সমিতি, কমলগঞ্জের সভাপতি নগেন্দ্র কুমার সিনহার সভাপতিত্বে ও শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আতিকুল ইসলাম, আজাদ হোসেন, মোবাশি^র আলী, আশরাফ আলী, আব্দুল মালিক, সুমন মিয়া প্রমুখ।

বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা বলেন, খাদ্যের ধান উৎপাদন করতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় না। তবে বীজ ধান উৎপাদনের জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বন হয়। তাছাড়া একই জাতের বীজ একই বীজতলায় বপন করতে হয়। একই জায়গায় একজাত বীজধান রোপন করতে হয়, পারচিং দিতে হয়, বড়লাইন দিতে হয়, রগিং করতে হয়। সব জাতের সুষম জৈব সার দিতে হয়, পোকা মাকড় দমন ও রোগ বালাই করতে হয়।

 

 

বর্তমানে সার, ডিজেল, পরিবহন ব্যয়, শ্রমিকের মূল্য এবং গ্রেডিং এর মূল্য চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান শুকানো সহ সর্বদা দাম নি¤œমুখী করা হয়েছে। বাজারে যে ধান বিক্রি করা হয় সে ধানের আদ্রর্তা ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ ও খঢ়, ধুলা, চিটাসহ থাকে। অথচ বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা বীজ ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশের মধ্যে রাখতে হয় এবং এর মধ্যে খড়, ধুলাবালি, চিটা মুক্ত করে দিতে হয়।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বিএডিসি বীজের যে দাম দেয়ার সিদ্ধান্ত করেছে তাতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। বোরো ধান বীজের দর পুণ:নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি বিএডিসি’র সিলেটস্থ উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা ধার্য করা হয়। পরে চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা জানান, গত ধান বীজের প্রদানকৃত দর ২০২২-২৩ উৎপাদন বর্ষে তাদের জন্য বীজ উৎপাদন ব্যয় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না। গত পাঁচ জুলাই সিলেট জোনের উপ-পরিচালকের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে বীজ ধানের কেজি প্রতি এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে চাষীরা এক টাকা বৃদ্ধিতে লোকসান কোনমতেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়। সারাদেশে দ্রব্যমূল্য যখন আকাশচুম্বি, সরকারের ধান, চাল সংগ্রহে দাম বৃদ্ধি সেখানে ধান বীজ সংগ্রহে দর নি¤œমুখী করায় চুক্তিবদ্ধ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এতে ধান বীজ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তারা আরও বলেন, ১৯৮১ সালের নিয়মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দর নির্ধারণ করেছে। পক্ষান্তরে বীজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএডিসি গ্রেডিং চার্জ কেজি প্রতি ১৫ পয়সা থেকে ৪ গুণবৃদ্ধি করে ৬০ পয়সা করেছে। অথচ যে প্রক্রিয়া দর ধার্য করা হয় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর নজরদারি না করে আগের নিয়মে দর ধার্য করেছেন।
কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধান বীজ সরবরাহের ৩ থেকে ৭ মাস পর বিল প্রদান করা হয়। এতেও আমরা চুক্তিবদ্ধ চাষীরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অথচ চাল-ধান সংগ্রহের পর সাথে সাথে বিল প্রদান করা হয়। চুক্তিকালে ধানের কোন দর নির্ধারণ করা হয় না। বর্তমানে জমি লিজ, সেচ, সার, কীটনাশক, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচাদি উর্ধ্বমুখী। সবমিলিয়ে বর্তমানে বীজ উৎপাদন খরচের তুলনায় চুক্তিভিত্তিক চাষীদের কম মূল্য দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ধান বীজের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বীজের মূল্য দেরীতে ও তিন কিস্তিতে না দিয়ে বীজ ধান সংগ্রহের দ্রুত সময়ের মধ্যে এক কিস্তিতে বিল প্রদানের দাবি জানান তারা। আগামীতে বীজধান সংগ্রহের পূর্বে বীজের যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করে বীজধান সংগ্রহ করার জন্যও কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি তুলেন। অন্যতায় আগামী আউশ ও আমন মৌসুমে বিএডিসিকে বীজধান সরবরাহ করবেন না।

মানববন্ধন শেষে বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে ধান বীজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে বিএডিসি’র সিলেট বিভাগী উপ-পরিচালক আশুতোষ দাস বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখেন। আমাদের কাছে চাষীদের অভিযোগের বিষয় আমরা সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি।

কমলগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

 

 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৌরসভা পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভানুগাছ রেলওয়ে মাঠে সমাপনী খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইছহাক মিঞায় সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ। সহকারী শিক্ষক মনজুর আহমেদ আজাদ মান্নার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রুহেল, ভানুগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি সঞ্জয় কান্তি দেব, কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো. সালাহউদ্দিন প্রমুখ।

সমাপনী খেলায়(বালক) ডাঃ চেরাগ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দল ২-০ গোলে আলেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দলকে পরাজিত করে এবং ভানুগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়(বালিকা) দল ১-০ গোলে কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দলকে পরাজিত করে। টুর্ণামেন্টে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ২০টি দল অংশগ্রহন করে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT