বাংলাদেশে আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের স্থায়িত্বকাল ছিল ২৬ সেকেন্ড।এবারের ভূমিকম্পে ঝাঁকুনির তীব্রতাকে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার আজ সকালে ১১টার দিকে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যে অঞ্চলে ভূমিকম্পটি হয়েছে, সেটি ইন্দো-বার্মা টেকটনিক প্লেটের অংশভুক্ত।
![]() |
তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পটিতে যে তীব্র, যে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে, তা তাঁর অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভূমিকম্পে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন শিশু। এ ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এরমধ্যে, রাজধানী ঢাকায় ৩ জন, নরসিংদীতে ২ জন এবং নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে আরও জানা গেছে যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরো বড় মাত্রার ভূমিকম্প, বিশেষকরে শ্রীমঙ্গল, সিলেট এইসব এলাকায় হতে পারে। এমনকি চিটাগাং-এ সাতের কাছাকাছি মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।