এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে তারা যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালত, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারে ৯৮/২০১৯নং (স্বত্ত্ব) বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষরা তাদের ভূমিতে পাকা স্থাপনা নির্মানকাজসহ বিভিন্নভাবে ভূমির রকম পরিবর্তন শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে তারা আদালতে উক্ত ভূমির উপর নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করলে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। কিন্তু, প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ অমান্য করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় তারা বিষয়টি আদালতে অবহিতক্রমে প্রতিকার প্রার্থনা করলে, আদালত “প্রতিপক্ষ যাহাতে নালিশা ভূমি বিষয়ে কোনরুপ পরবর্তী পরিবর্তন করিতে না পারে তন্মর্মে সরেজমিন উপস্থিত হইয়া যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য” শ্রীমঙ্গল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু, ওসি অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা না নেয়ায়, প্রতিপক্ষরা উক্ত ভূমিতে কাজ অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় তারা গত নভেম্বরে সহকারী জজ আদালত, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারে ২৩/২০২২নং(ভায়োলেশন) মামলা দায়ের করেছেন।
ইসমাইল মিয়া বলেন- দেশে আইন, আদালত, আইন প্রয়োগ ও কার্যকর পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী আছে। দেশের আইন-আদালত ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হচ্ছে দেশের জনগণের শেষ ভরসাস্থল। আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই তারা আইন-আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। আদালত যথাযথ আদেশ/নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, প্রতিপক্ষরা আইন ও আদালতের আদেশ/নির্দেশ অমান্য করে চলেছে। একই সাথে পুলিশও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে চলেছে।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন সাধারণ মানুষের আর কি করার থাকে? জনগণের আশ্রয় নেয়ার জায়গা আর কোথায় রইলো? এমতাবস্থায় তারা বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করে এবং লেখনির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দেশের জনগণকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ময়না পুত্র ইছুব মিয়া ও ছুরত মিয়াসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো, জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার জানান, তিনি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরেজমিন পরিদর্শনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং আদালতে এর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
|