1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আবরার হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট’এর বিক্ষোভ - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

আবরার হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট’এর বিক্ষোভ

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৬২০ পড়া হয়েছে


আব্দুল ওয়াদুদ।।
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে মৌলভীবাজারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
৯ই অক্টোবর বুধবার দুপুরে শহরের সমশেরনগর সড়ক থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি শহরের এম সাইফুর রহমান রোডে গিয়ে শেষ হয়। পরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, মামুন পারভেজ, আবিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, রাহিন আহমদ, জসিম তালুকদার, পাপন রহমান, কলেজ ছাত্র দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জনি আহমেদ প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুলতান আহমেদ, আফজল হুসেন, মারুফ আহমেদ, আইনুল ইসলাম, মিলন আহমেদ, দুলাল হোসেন, আলি হুসেন, সাইফুল ইসলাম, জাফর, শামিম আহমেদ, ইমরান, রাববি, সাইফ, নেছার, নাবিল, শাহ মুরাদ জাবের, ফাহিমুল ইসলামসহ অনেকে।

এদিকে একই দাবীতে মৌলভীবাজারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা চত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুবিনয় শুভর সভাপতিত্বে ও বিশজিৎ নন্দীর সঞ্চলনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি রেহনুমা রুবাইয়াৎ, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পিনাক দেব, সুমন কান্তি দাশ, ফাহিম চৌধুরী, সজিবুল ইসলাম তুষার, রাজীব সূত্রধর।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বিগত দশ বছরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশজনের বেশি শিক্ষাথীকে খুন করা হয়েছেন। এরমধ্যে এক শিশু এবং দর্জি বিশ্বজিৎ ছাড়া সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো। এসব খুনের সাথে যুক্ত ছিলো ছাত্রলীগ। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় আজকের এই অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। এসব রুখতে সব মানুষকে পথে নামতে হবে। নয়তো আজকে আবরার কালকে আমাদের কেউ এই নৃসংশতার শিকার হতে পারি”।
সমাবেশ শেষে প্রগতিশীল ছাত্রজোট’এর নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।

আবরার হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে সারা দেশের সুশীল সমাজের মাঝে গড়ে উঠছে তীব্র অসন্তোষ। মেহেরপুরের রাজনীতিক সামসুজ্জামান(Md Jaman Islam ) গত 8 অক্টোবর, 10:06 AM-এ অন্য একজনের বক্তব্যের উদৃতি দিয়ে তার ফেইচবুকে লিখেছেন-
“আবরার হত্যাকাণ্ড অমানবিকতা, বর্বরতার প্রতিক হয়ে গেলো। কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষে আবরার মৃত্যু হয়নি। আবরার কে ধরে নিয়ে শিক্ষা দেবার নামে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বর্বরতা সমগ্র জাতিকে আহত করেছে। এটি একটি ঠান্ডা মাথায় খুন। এই ধরনের একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ১৯৮৮ সনের ৩১মে তারিখে। পঞ্চম বর্ষ এর ছাত্র ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি জামিল আখতার রতনকে দিন দুপুরে তরবারি চালিয়ে জবাই করেছিলো ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। জবাই করার সময় আল্লাহ হু আকবর ধ্বনি দিয়েছিলো। হত্যাকাণ্ডের শেষে হত্যাকারীরা পরস্পরের গালে চুম্বন করেছিলো। ছাত্রশিবির কাফের হত্যা করে সাংগঠনিক দায় স্বীকার করছিলো। কারণ কাফের হত্যা তাদের মতাদর্শগত অবস্হান। ঐ নৃশংসতার বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাদেশ গর্জে উঠেছিল। সামরিক শাসক এরশাদের লালিত জামায়াত ছাত্রশিবির ও এরশাদ ছাত্র আন্দোলনে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছিলো। আবরার হত্যাকাণ্ড বিছিন্ন ঘটনা বা কতিপয় দলবাজের কাজ বলে ছাত্রলীগ দায় এড়াতে পারবেন না।
ঐ সকল কতিপয় দলবাজ ছাত্রলীগের নির্বাচিত নেতা কর্মী হিসেবে দাপটের সাথে বুয়েট শাসন করে আসছিলেন। ঠিকাদারী, টেন্ডার বাণিজ্য, দূর্নীতি অনিয়ম, মাদকাসক্ত, সাথে ঐ দলবাজরা জড়িত। খোঁজ নিলে হয়তো দেখা যাবে ঐ সকল নেতা শোভন রব্বানীর পদ বানিজ্যের ক্রেতা বিক্রেতা। ছাত্রলীগের ঘোষণা পত্র গঠনতন্ত্রে অনেক প্রগতিশীল কথা লেখা থাকলেও তা আর চর্চিত নয়। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও নয়া উদারতাবাদি স্বার্থবাদী, ভোগবাদী দর্শন এখন শোষণ মুনাফা টিকিয়ে রাখতে কর্তৃত্ববাদ সৃষ্টি করছে। অসামপ্রদয়িকতা, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী লড়াই, গনতান্ত্রিক মুল্যবোধর অর্জিত গুণ গুলি প্রতিমুহূর্তে পরাজিত হচ্ছে। কারন নিকৃষ্ট লুটেরা, রেন্ট সিকার ধনিক বণিক, সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগীয় দূর্নীতি, অসাধু তথ্য মিডিয়ার নয়া সিন্ডিকেট রাজনীতি দখল নিয়ে নিরঙ্কুশ রাষ্ট্র ক্ষমতা তৈরি করেছে। দলের আদর্শ এখন কার্যকর নয়। দলবাজি টাই প্রধান। লুটপাট প্রধান। সাম্রাজ্যবাদী লুটেরা ভোগবাদি আগ্রাসন এখন প্রবল প্রতাপে বিশ্ব দাপাচ্ছে। আওয়ামীলীগ দলটি ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় বুরজুয়াদের দল হতে পারতো কিন্তু দলটিতে লুটেরা দূবৃত্তদের পাল্লা ভারী। কর্মী নেতা সকলেই যুক্ত হচ্ছে অনৈতিকতার জগতে। লুটপাটের মনস্তত্ত্ব, পেশীশক্তির আদর্শ সকল তরুণ কর্মীদের এখন ফ্যাসিবাদী মনোজগতে নিয়ে যাচ্ছে। দল, সরকার, রাষ্ট্র মিলেমিশে একাকার। রাজনৈতিক লড়াই নেই অনুপস্থিত গণতন্ত্রে। ফলে ক্ষমতা ফুটানি বাড়ছে। মার্কা মারা লুটেরাদের দল বিএনপি ও পথেই হেটেছিলো। ফল ভোগ করছে এখন।
আবরার অস্হির সময়ে, নৃশংসতার বলি হয়ে গেলো। ওর মেধার অবদান আমরা পাবো না। বাবা মায়ের প্রিয় সন্তান হারিয়ে গেলো দূরবৃত্ত রাজনীতির কাছে। দূর্ঘটনা মেনে নেওয়া যায়। ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায়না। অবশ্যই বিচার হতে হবে। খুনের সঙ্গে জড়িতদের করুনা করছি ঘৃণা করছি তেমনি নিজের কাছে সমাজের কাছে প্রশ্ন রাখছি ঐ মেধাবী তরুণদের খুনী মানুষিকতা কেন তৈরি হলো?”

মৌলভীবাজারে ৫০ লিটার মদসহ আটক ২জন

মৌলভীবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে ৫০ লিটার মদসহ দুজকে আটক করেছে ডিবিপুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ক্লাব সড়কস্থ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকায় বিশেষ অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওই এলাকার শুকলাল ভাম্পরের বসতঘর গিয়ে মদসহ আসামীদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- ক্লাব সড়কের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার কলাল ভাম্পর (৩৮) ও রাজনগর উপজেলার বাহাদুরগঞ্জের সমছুমিয়া(৩২)।
এসময় উভয়ের কাছ থেকে ৫০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করাহয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা শাখার মৌলভীবাজারের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্যেখ্য, ক্লাব সড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজা, চোলাই মদ, ইয়াবাসহ নানা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল এসব ব্যবসায়ীরা। অনেক দিন পর মাদকসহ ওই দুজনকে আটক করে ডিবি।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT