লন্ডন: শেখ আবু জায়েদ মসজিদ। মুসলিম বিশ্বের আরেক বিস্ময়। আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অবস্থিত ইসলামিক ঐতিহ্যমন্ডিত আধুনিক স্থাপত্য ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহইয়েন।
এই শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, শুধু আরব-আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদই নয় পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম ও সুন্দরতম একটি। ৩৮ টি প্রখ্যাত ঠিকাদারি কোম্পানির ৩০০০ হাজার দক্ষ কর্মী ইতালি, জার্মানি, মরক্কো, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরান, চীন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অনেক দেশের কাঁচামালে নির্মাণ করেন এই মসজিদ। শেখ জায়েদ মসজিদের নকশায় পাকিস্তান, ভারত ও মরক্কের প্রভাব স্পষ্ট। সরকারী কোষাগার থেকে নির্মিত এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হয়েছে $৫৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাড়া বিশ্বের পর্যটকদের কাছেও এই মসজিদ অন্যতম জনপ্রিয় একটি আকর্ষণ।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, সংযুক্ত আর আমিরাতের মোহাম্মদ মান্দি আল তামামি, সিরিয়ার ফারুক হাদ্দাদ এবং জর্দানের মোহাম্মদ আলাম এর ক্যালিওগ্রাফি ও নকশায় সমৃদ্ধ মসজিদটি নজর কাড়াই বলতে হয়। ডিজাইন ও নির্মাণে ইতালি, জার্মানি, মরক্কো, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরান, চীন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব সহ অনেক দেশ থেকে কারীগর ও উপকারণ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে আছে ছোট-বড় সাত আকারের ৮২টি গম্বুজ। যা নির্মাণ করা হয়েছে স্বেত মার্বেল পাথর দিয়ে। মসজিদের বৃহত্তম গম্বুজের উচ্চতা ২৭৯ ফুট।
আজকের বিষয় মসজিদ নয় বরং পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা নিয়ে। ভিন্ন ভাষায় শুনুন তাদের এলাহিকান্ডের নমুনা। ইংরেজী ভাষায় কথোপকথন হলেও মোটামুটি অনুমান করা যায়, কি বলছে তারা। কারিগরি ত্রুটির জন্য অনুবাদ করতে পারিনি বলে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ভিডিওটি পাঠিয়েছেন আমাদেরই এক শুভানুধ্যায়ী সুনয়নী লাকি আখতার। তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।