সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব মৌলবীবাজার জেলা তথা সিলেট বিভাগের নাট্য অঙ্গনের আলোচিত মুখ, এক সময়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা, মৌলবীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মতিন এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সর্ব মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে মৌলবীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাট্যকার আব্দুল মতিনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এতে তিনি প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হন।
নাট্য আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ত্ব আব্দুল মতিন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মৌলবীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক, জেলা নাট্য পরিষদ(জেনাপ) মৌলবীবাজারের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
মৌলবীবাজারের বিশিষ্ট কবি, নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ত্ব আব্দুল মতিন সন্ত্রাসী কর্তৃক শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় জেলার সর্ব মহল থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, মতিন ভাই অত্যন্ত ত্যাগী একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব, তার মতো একজন মুক্তমনের মানুষ, যিনি অত্যন্ত সৎভাবে জীবন যাপন করেন। উনার মত মানুষের উপর এধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য। যারাই এধরনের ঘটনা করে থাকুক না কেন, তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ ব্যাপারে আশাকরি মৌলবীবাজারের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীরা মতিন ভাইরের পাশে থাকবে এবং সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালু রাখবে। প্রয়োজনে ঢাকাতেও আমরা এর প্রতিবাদে কর্মসূচী গ্রহণ করবো।
জেলার অন্যতম নাট্যকর্মী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সংগঠক আ স ম সালেহ সোহেল প্রতিক্রিয়ায় জানান, জেলার প্রাজ্ঞ নাট্য ব্যক্তিত্বের উপর সন্ত্রাসী হামলা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটি অমার্জনীয় এবং অকল্পনীয় ঘটনা। মৌলভীবাজারের মতো শিষ্টাচার সম্পন্ন শহরে সকল নাগরিক সমাজকে এই ঘটনায় আহত করেছে। নাট্যকার আব্দুল মতিন ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানাই।
জেলার বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং জেলা নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন দুলাল ক্ষোভের সাথে জানান, নাট্যকার আব্দুল মতিন ভাইয়ের উপর একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত। সচেতন মহল ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি কখনও মেনে নেবে না। আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীরা এবং শহরের সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।