লন্ডন: মঙ্গলবার, ৪ঠা পৌষ ১৪২৩।। বার্লিনের জনবহুল একটি বাজারের উপর দিয়ে গাড়ী চালিয়ে ১২জনকে হত্যার দায়ে এক পাকিস্তানী শ্মরণার্থীকে জার্মান পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আজ। গতকাল রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। জখম হয়ে আরো ৪৮জন হাসপাতালে আছেন।
এ ঘটনায় সকলের মনেই প্রশ্ন জেগেছে ফ্রান্সের পর এও কি এক সন্ত্রাসবাদী হামলা হল জার্মানীতে? পশ্চিম বার্লিনে কাইজার উইলহেম মেমোরিয়াল গির্জার কাছে বড়দিনের বাজারে ঢুকে পড়ে এই ঘাতক ট্রাক। ট্রাকটি থামার কোন লক্ষনই দেখা যায়নি বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ। বড়দিনের বাজার ভিড়তো ছিলই কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গির্জাটিকে সেই অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধের ভয়াবহ স্মৃতি হিসেবে আর এই গির্জার কাছে গত ৩৩ বছর ধরে বড়দিনের বাজার বসে। বার্লিনবাসীর কাছে বাজারটি খুবই জনপ্রিয়।
পুলিশ বলছে ট্রাকটি ৪০ মাইল বেগে ফুটপাতে উঠে বাজারের মাঝখানে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা যায় গুলি করে ট্রাকটিকে থামানো হয় এবং ট্রাকের ভেতরে একজন পুলিশ নাগরীকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এতে বুঝা যায় পরিকল্পিতভাবেই এই অমানুষিক সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালিত হয়েছে আর পুলিশও সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবেই বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত পাকিস্তানী “নাভেদ বি” শহরের বাহিরে একটি পুরনো বিমান বন্দরের শ্মরণার্থী কেন্দ্রে থাকেন। এ বছরের জুন মাসে তাকে একবছরের অস্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিট দেয়া হয়েছিল।
জার্মানীর আভ্যন্তরীন মন্ত্রী ক্লাউস বউলিয়ন বলেছেন-“আমাদের অবশ্যই বলতে হবে, আমরা একটি যদ্ধাবস্থার মধ্য দিয়ে চলছি।”
নাভেদকে চেনেন এমন একজন ‘গার্ডিয়ান’ এর একজন সাংবাদিককে বলেছেন ‘সে একবারেই একজন মামুলি মানুষ’। ট্রাকের ভেতরে মৃত যে ব্যক্তির লাশ পাওয়া গিয়েছে তাকে পুলিশ ওই ট্রাকের মূল চালক বলে মনে করছে এবং তাকে হ্ত্যা করে ট্রাকটি ছিনতাই করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।(ভিডিও সহ খবরটি “ইন্ডিপেন্ডেন্ট” ও “ইকোনমিস্ট” থেকে সংগৃহীত)