ছোট পরিসরে কি এই সিপাহিকে স্মরণ করা উচিৎ?
মৌলভীবাজারে শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজার দফতর থেকে: রোববার, ৩০শে অক্টোবর ২০১৬।। ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ইং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ছিল। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর ভোর রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর সাব সেক্টর থেকে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই সীমান্ত চৌকিতে প্রবেশ করে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন এই মহান সিপাহি। আমাদের স্বাধীনতার জন্য তাঁর জীবন বিলিয়ে দেন হামিদুর রহমান। জাতী তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করে।
জাতির সেই বীর সন্তানের ৪৫তম আত্মোৎসর্গ বার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুস্পস্তবক অপর্ন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে সকাল ১১টায় পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে কমপ্লেক্স দো’তলায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক রফিকুর রহমান, আব্দুল মুনিম তরপদার, পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও সাংবাদিক এম, এ, ওয়াহিদ রুলু।
উল্যেখ্য, ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান ধলই সীমান্ত এলাকায় বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ধলই সীমান্তে ধলই চা বাগানের জমি অধিগ্রহণ করে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ওই সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের লিখিত আবেদনে ও এলাকাবাসীর দাবীতে এম সাইফুর রহমানের উদ্যোগে তৎকালীন সরকার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাসা গ্রাম থেকে হামিদুর রহমানের মরদেহ বাংলাদেশে এনে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করেন। এদিকে বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষির্কী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, জাতীয় বীর জাতীর এই শ্রেষ্ট সন্তান হিসেবে পুরো জেলা জুড়ে এই দিনে আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন আচারানুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করার দাবী জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল। মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষির্কী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ১০/১২ জন মিলে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে আমরা একটা দোয়া মাহফিল করেছি। তিনি বলেন, এই মহান সিপাহিকে আরো বড় অনুষ্ঠান করে স্মরণ করা প্রয়োজন ও উচিৎ।