1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আর মাত্র ৭ বছর! ধ্বংস করতে আসছে ১মাইল প্রস্তের মহালৌকিক পাথর - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

আর মাত্র ৭ বছর! ধ্বংস করতে আসছে ১মাইল প্রস্তের মহালৌকিক পাথর

সংগৃহীত ও অনুদিত॥
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫০৬ পড়া হয়েছে
এ পৃথিবী টিকে থাকবে আর মাত্র ৭ বছর। তারপর! তারপর সব চুরমার! খান খান, টুকরো টুকরো হয়ে মহাশূণ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে টুকরোগুলো। আর আমরা মানুষের কি হবে! সে পরে এমনিতেই বুঝা যাবে।
আসছে এক মাইল ব্যাপ্তির মহালৌকিক পাথর। কবে কার ধাক্কায় তার যাত্রাপথ থেকে ছিটকে পথ হারিয়ে আমাদের এ শান্তিপ্রিয় ভূখণ্ডের দিকে ছুটে আসছে কেউ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারছেন না। আমাদের আকাশ বিশেষজ্ঞ আর সৌরবিজ্ঞানীরা কেবল এই পাথরের ধাক্কার ক্ষমতা বিষয়ে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। তাদের ধারণায় এই পাথরের ধাক্কার ক্ষমতা হবে ২০লাখ হিরোশিমা বোমার ক্ষমতার সমান সমান। পৃথিবীর সাথে এর ধাক্কায় নিমিশেই সবকিছু মাটির সাথে মিশে যাবে। সমাজ সভ্যতা সবকিছু বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন।
সৌরবিজ্ঞানীরা হিসেব কষে এই মহালৌকিক পাথরটির আগমন ও আমাদের মাটির সাথে ধাক্কা লাগার সন, তারিখ এমনকি সময় পর্যন্ত গুণে বের করে দিয়েছেন। তাদের মতে ২০২৮ সালের ২৬ অক্টোবর বিকেল ৬:৩০ মিনিটের সময় শূণ্যলোকের এই পাথরটি আমাদের এ মাটির পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে। বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন যে, ঘন্টায় প্রায় ১৭০০০ মাইল বেগে এসে আমাদের ধরায় আঘাত হানবে যার প্রতিক্রিয়া হবে প্রায় ২০লাখ হিরোশিমা বোমার শক্তিতে। পৃথিবীর গায়ে ধাক্কা লাগার পরপরই অবিশ্বাস্য ভূকম্পনের সূত্রপাত হবে, অগ্নোৎপাত সংগঠিত হবে এবং গলিত লাভা বেরিয়ে পড়বে।

গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে বাঁচাবার পরীক্ষামূলক মিশন নাসার। মিশন কি… হবে?

পৃথিবী-পাথরের সংঘর্ষের পর যে ধূলা-বালি উড়বে তাতে এক অনিশ্চিত সময়ের জন্য সূর্য্য ঢাকা পরে পুরো পৃথিবীতে নেমে আসবে এক মহাজাগতিক শৈত্য প্রবাহ। লক্ষ কোটী মানুষ মারা যাবে। একজন বৃটিশ বিজ্ঞানী ড.বেনি পেশার বলেছেন যে যতদূর তারা জানতে বুঝতে পেরেছেন তাতে বলা যায় যে আমাদের এ সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে তবে এর অর্থ এই নয় যে গোটা মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা আরো বলেছেন যে মহালৌকিক এ দূর্ঘটনে আমরা অতীতের মত এক অন্ধকার সময়ে ফিরে যাবে। ১৯৯৭সালের ডিসেম্বরে আমেরিকার আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌরবিজ্ঞানীরা ভয়াবহ এ বিপদের লক্ষন খোঁজে পেয়েছিলেন। এরই কয়েক মাস পর বৃটেনের ‘দি মিরর’ পত্রিকা ১৩ মার্চ শুক্রবার এরকম খবরটি প্রকাশ করেছিল। ১৯৯৮ সালের মিরর পত্রিকা থেকে অনুবাদ


এমন ছবি ছাপিয়ে শিরোনাম দিয়েছিল “দি মিরর” পত্রিকা। ছবি: দি মিরর থেকে সংগৃহীত।

এদিকে গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার পরীক্ষামূলক মিশন শুরু করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা

এ নিয়ে বিবিসি লিখেছে খুব বিষদভাবে। অবশ্য বিবিসি’র ভাষায় আঘাতকারী এ বস্তুকে পাথর বলা হয়নি, বলা হয়েছে গ্রহাণু। সে পাথরই হোক আর পাহাড়ই হোক এ মাটির পৃথিবীর উপর না পড়লেই মানুষ বাঁচে।
বিবিসি লিখেছে- “পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এমন গ্রহাণুকে তার গতিপথ থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেবার এক প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখার জন্য মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘ডার্ট’ নামে একটি যান বুধবার তার যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। গত ২৩ নভেম্বর বিবিসি এমন খবর প্রকাশ করেছে। পরীক্ষাটা চালানো হবে ডাইমরফোস নামে একটি গ্রহাণুর ওপর।
নাসার মহাকাশযানটি এর ওপর আঘাত হানবে এবং তারপর পরীক্ষা করে দেখা হবে এর কক্ষপথ এবং গতিবেগে কোন পরিবর্তন হলো কিনা। এটিই মানুষের প্রথম পরীক্ষা বলেই বলা হয়েছে। এতে, এ ভূমণ্ডলকে রক্ষার লক্ষ্যে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে।
যে গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে বলে একসময় বড়রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা অন্তত আগামী একশ বছর ঘটবে না এবং পৃথিবী “নিরাপদ” বলে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে। এমন খবরে পৃথিবীর মানুষ নিশ্চয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে।
‘অ্যাপোফিস’ নামের এই গ্রহাণু আবিষ্কার হয়েছিল ২০০৪ সালে এবং এটি পৃথিবীর জন্য অন্যতম বিপদজনক গ্রহাণু বলে চিহ্ণিত করেছিল নাসা। তাদের পূর্বাভাস ছিল এই গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা দেয়ার মত খুব কাছাকাছি আসবে ২০২৯ সালে। এরপর আবার বলা হয়েছিল যে, এটা ঘটতে পারে ২০৩৬ সালে। পরে দুটি সংঘর্ষের আশঙ্কাই নাকচ করে দেয়া হয়েছিল।
এরপর জানা যায় ২০৬৮ সালে এই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। কিন্তু এই গ্রহাণুর গতিপথ নতুনভাবে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে নাসা এখন বলেছে অন্তত ১০০ বছরের জন্য এই ঝুঁকি কাটানো গেছে।
নাসার একজন বিজ্ঞানী ডেভিড ফার্নোচ্চিয়া এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন- “এই গ্রহাণুর ২০৬৮ সালে পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগার যে আশঙ্কা ছিল, সেই সম্ভাবনা এখন নেই এবং আমাদের হিসাব অনুযায়ী আগামী অন্তত একশ বছরে এই গ্রহাণু তার গতিপথে সেই ঝুঁকির জায়গায় আসবে না।
এই গ্রহাণুর নামকরণ হয়েছিল মিশরের এক প্রাচীন দেবতা অ্যাপোফিস-এর নামে। গ্রহাণু অ্যাপোফিস প্রস্থে ৩৪০মিটার(১,১০০ ফুট) চওড়া এবং এর দৈর্ঘ্য ব্রিটেনের প্রায় তিনটি ফুটবল পিচের সমান। -বিবিসি থেকে সংগৃহীত
এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT