এ পৃথিবী টিকে থাকবে আর মাত্র ৭ বছর। তারপর! তারপর সব চুরমার! খান খান, টুকরো টুকরো হয়ে মহাশূণ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে টুকরোগুলো। আর আমরা মানুষের কি হবে! সে পরে এমনিতেই বুঝা যাবে।
আসছে এক মাইল ব্যাপ্তির মহালৌকিক পাথর। কবে কার ধাক্কায় তার যাত্রাপথ থেকে ছিটকে পথ হারিয়ে আমাদের এ শান্তিপ্রিয় ভূখণ্ডের দিকে ছুটে আসছে কেউ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারছেন না। আমাদের আকাশ বিশেষজ্ঞ আর সৌরবিজ্ঞানীরা কেবল এই পাথরের ধাক্কার ক্ষমতা বিষয়ে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। তাদের ধারণায় এই পাথরের ধাক্কার ক্ষমতা হবে ২০লাখ হিরোশিমা বোমার ক্ষমতার সমান সমান। পৃথিবীর সাথে এর ধাক্কায় নিমিশেই সবকিছু মাটির সাথে মিশে যাবে। সমাজ সভ্যতা সবকিছু বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন।
সৌরবিজ্ঞানীরা হিসেব কষে এই মহালৌকিক পাথরটির আগমন ও আমাদের মাটির সাথে ধাক্কা লাগার সন, তারিখ এমনকি সময় পর্যন্ত গুণে বের করে দিয়েছেন। তাদের মতে ২০২৮ সালের ২৬ অক্টোবর বিকেল ৬:৩০ মিনিটের সময় শূণ্যলোকের এই পাথরটি আমাদের এ মাটির পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে। বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন যে, ঘন্টায় প্রায় ১৭০০০ মাইল বেগে এসে আমাদের ধরায় আঘাত হানবে যার প্রতিক্রিয়া হবে প্রায় ২০লাখ হিরোশিমা বোমার শক্তিতে। পৃথিবীর গায়ে ধাক্কা লাগার পরপরই অবিশ্বাস্য ভূকম্পনের সূত্রপাত হবে, অগ্নোৎপাত সংগঠিত হবে এবং গলিত লাভা বেরিয়ে পড়বে।
গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে বাঁচাবার পরীক্ষামূলক মিশন নাসার। মিশন কি… হবে?
পৃথিবী-পাথরের সংঘর্ষের পর যে ধূলা-বালি উড়বে তাতে এক অনিশ্চিত সময়ের জন্য সূর্য্য ঢাকা পরে পুরো পৃথিবীতে নেমে আসবে এক মহাজাগতিক শৈত্য প্রবাহ। লক্ষ কোটী মানুষ মারা যাবে। একজন বৃটিশ বিজ্ঞানী ড.বেনি পেশার বলেছেন যে যতদূর তারা জানতে বুঝতে পেরেছেন তাতে বলা যায় যে আমাদের এ সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে তবে এর অর্থ এই নয় যে গোটা মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা আরো বলেছেন যে মহালৌকিক এ দূর্ঘটনে আমরা অতীতের মত এক অন্ধকার সময়ে ফিরে যাবে। ১৯৯৭সালের ডিসেম্বরে আমেরিকার আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌরবিজ্ঞানীরা ভয়াবহ এ বিপদের লক্ষন খোঁজে পেয়েছিলেন। এরই কয়েক মাস পর বৃটেনের ‘দি মিরর’ পত্রিকা ১৩ মার্চ শুক্রবার এরকম খবরটি প্রকাশ করেছিল। ১৯৯৮ সালের মিরর পত্রিকা থেকে অনুবাদ |