লন্ডন: দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মালবাহী কন্টেইনার সাউথহাম্পটনে এসে নোঙ্গর করেছে। দুইদিন এক রাত থাকবে।
৪০০এম লম্বা এমওএল ট্রাম্প এ বছর থেকে মাল পরিবহন শুরু করেছে। জাহাজটির কোম্পানী বলেছে আগের সকল মালবাহী জাহাজের চেয়ে এ জাহাজে জ্বালানী খরচ অনেক কম।
নির্মাণ করেছে সামসাং কোম্পানী দক্ষিন কোরিয়ায়। জাহাজটি চীন ও ইউরোপীয়ান দেশগুলিতে যাতায়াত করবে। ২১৭০টি কন্টেইনারের সমমানের ওজন বহন করতে পারে জাহাজটি।সাউথহাম্পটনের বন্দর রক্ষনাবেক্ষনকারী বলেছেন জাহাজটির এখানে বন্দর করা একটি যুগান্তকারী ঘটনা এবং গর্বের বিষয়ও বটে। ২০১৭ সালে ব্যবসায় আসার পর দক্ষিন ইউরোপে এই প্রথম তার আগমন। জাহাজটি লম্বায় ৪০০ মিটার, প্রস্থে ৫৮.৮মিটার এবং ভেতরের গভীরতা ৩২.৮মিটার। জাহাজের নাবিকের সংখ্যা ২০জন।আগামী রোববার পর্যন্ত জাহাজটি সাউথহেম্পটনে থাকবে মাল খালাসের জন্য এর পরে জার্মানীর হামবুর্গে যাবে। সেখান থেকে এশিয়ার দিকে ফিরে যাবে।
সাউথহাম্পটন বন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস লেউইচ বিবিসি কে বলেছেন-‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ মালবাহী একটি জাহাজকে নজরদারী করার সুযোগ একটি বিরল সন্মান বিশেষ করে দক্ষিন ইউরোপে এটি তার প্রথম আগমন। ‘বিবিসি’র সাউথহাম্পটন প্রতিনিধি পল ক্লিফটন বলেন,জাহাজের সবকিছুই খরচ কমানোর বিষয়। বিশাল একটি ইঞ্জিন,একটি মাত্র পাখা,এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে উপযুক্ত নিরাপত্তায় বয়ে নিয়ে যাবে আসবে বিশাল পরিমাণের কার্গো। ‘মল ট্রাম্প’ নামের এই কার্গো জাহাজের নিপুণতা হলো গায়ের বিশেষ রং যা পানিতে ঝলমলানি কমিয়ে রাখতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি হলো জ্বালানী খরচ। এই পাঁচ বছর আগের নির্মিত সকল কার্গো জাহাজের চেয়ে কন্টেইনার প্রতি চার ভাগের তিনভাগ কম জ্বালানীতে এ জাহাজ চলে। এদিক থেকে বলতে গেলে খুবই পরিবেশ বান্ধব। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে মাত্র ৯০দিনে আসা যাওয়া শেষ করতে পারে। আর নাবিক মাত্র ২০জন।