মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে নিয়ে আসার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেছেন। গেল সপ্তাহে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেই নিজের মতো করে প্রশাসন সাজাতে শুরু করেছেন। তারই দলীয় বিগত সরকারের বহু মন্ত্রীকে তিনি বাদ দিয়েছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে ইস্তাফা দিয়ে সরে পড়েছেন। তার নতুন নিয়োগে ব্রেক্সিট বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের তিনি বেছে নিয়েছেন।
গত বুধবার তিনি ব্রেক্সিটপন্থিদের মধ্যে দায়ীত্ব বন্টন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন প্রীতি প্যাটেল আর ডমিনিক রাব পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। সবচেয়ে চমৎকৃত হওয়ার বিষয় হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদকে দেয়া হয়েছে চ্যান্সেলর। সাজিদ জাভিদ ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ছিলেন প্রকাশ্যেই। মিসেস লীজ ট্রুস ও ওই একই পথের মানুষ। এছাড়াও সাজিদ জাভিদ প্রকাশ্যেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন বিভিন্নভাবে। এখনও বিদেশের গন্ধ তার শরীর থেকে যায়নি বলেই সম্ভবতঃ তিনি হতে পারেননি।
সরকার গঠনের লগ্নেই বরিস জনসনের ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার দৃঢ় ঘোষণা আর নতুন সরকারে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে স্টিফেন বারক্লে’র নিয়োগ আর হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিস-মগের মনোনয়ন কেমন বিপরীত বলেই রক্ষনশীল রাজনৈতিক মহল দেখছেন। জ্যাকব রিস-মগ’তো নতুন মন্ত্রীপরিষদ গ্রহন করতেই পারেননি। তার ধারনা, ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধবাদী লোকজন এখানে বেশি। এছাড়াও শর্তহীন ব্রেক্সিট প্রবক্তা মাইকেল গভের নিয়োগও বরিসের পরিকল্পনাকে কতটুকু সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে তাতে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই। আরো যারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন তারা হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ালেস। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রুস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী- ম্যাট হ্যানকক। শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন গাভিন উইলিয়ামসন। নিকি মর্গান হয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী। ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে আন্দ্রেয়া লিডসমকে। ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে আম্বার রাডকে।
বিগত ২৯শে মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বৃটেনের। কিন্তু সরকারের ব্রেক্সিট বিষয়ক তিনটি চুক্তি সাংসদগন প্রত্যাখ্যান করায় ওই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১শে অক্টোবর করা হয়েছে। এ ভাবনা থেকে খুবই কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ও মোকাবেলার খুবই শক্ত একটি বিষয় মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীত্বকে বরণ করেছেন বরিস জনসন। জেরেমি হান্টের দায়ীত্ব প্রত্যাখ্যানসহ ঘটনাপ্রবাহ ইউনিয়নে থেকে যাবার বিষয়কে যৌক্তিক বলে ইশারা দেয়।