লন্ডন: ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা শুরু করল ব্রিটেন। লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা মেনে এই বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলবে। চুক্তি অনুযায়ী যে দেশ বিচ্ছেদ চায় তাকেই সে কথা জানাতে হবে। বুধবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, ইইউ–এর ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের থেকে তিনি ব্রিটেনের বিচ্ছেদের আবেদন সংক্রান্ত চেয়ে চিঠি পেয়েছেন। মঙ্গলবারই ব্রিটিশ সংসদে এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তাঁর কথায়, ‘ব্রিটেনের মানুষের ইচ্ছায় ৫০ নম্বর ধারা মেনে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ছে ব্রিটেন।’ বিচ্ছেদ হলেও ইইউ–এর সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে বলে আশাবাদী মে। দু’বছর ধরে চলবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া।
গত বছরের জুন মাসে এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের উদ্দেশে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্রেক্সিট ঘিরে যে দ্বিমত তৈরি হয়েছে, কী করে সেটাকে দূরে সরিয়ে দেশের উন্নতি করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করবেন মে।’ এদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা, জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের জনতা। এই ফলকে আমরা সম্মান করি। তবে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকেই নজর রাখা হবে।’ সেই ১৯৭১ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল ব্রিটেন। ১৯৭৩ সালে ইইউ–এর সদস্য হয় তারা। যে আর্থিক সুবিধার যুক্তিতে তখন ব্রিটেন সদস্য হয় সেই একই যুক্তিতেই সদস্য পদ ছাড়ার পক্ষে মত দেন ব্রিটিশরা। তাঁদের যুক্তি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলসে বহু অর্থ পাঠাতে হয় নিরাপত্তার জন্য। তাতে দেশের উন্নতি থমকে যায়।
এদিকে, ব্রিটেন থেকে বিচ্ছেদ চাইছে স্কটল্যান্ডও। সে দেশের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন বলেন, এবার তিনি ব্রিটেনের থেকেও বিচ্ছেদ চাইবেন। আসলে ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল স্কটল্যান্ড।
৫৯ শতাংশ স্কটিশ ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিল। মঙ্গলবার স্টার্জনের আনা ব্রিটেন থেকে স্কটল্যান্ডের বিচ্ছেদ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে স্কটিশ সংসদ। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেন থেকে বিচ্ছেদের অনুমতি চাইবে স্কটল্যান্ড। তবে এই নিয়ে টেরেসা মে স্কটল্যান্ডের দাবি মানা হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মে। (আজকাল থেকে)