লন্ডন: উচ্চবিত্তের রসনাতৃপ্তি না-কি মানুষ ঠকানোর আধুনিক ধনবাদী নমুনা। কোনটা সত্য এমনিতে বলা সম্ভব নয়। একজন মানুষ যখন কোন কাজ করেন, সে যে কাজই হোক না কেনো, কোন ধরনের প্রার্থনা থেকে চুরি; সবকাজেই তার মনোজগতের সায় থাকে। হতে পারে সে সায় কখনও কখনও লোকদেখানো থাকে। যখন মনের সায় থাকেনা, কাজ হয় লোকদেখানোর কোন বিশেষ তাগিদ থেকে সেটি বুঝা যায় ওই লোকের সাথে জমিয়ে আলাপে বসতে পারলে। আবার অনেক সময় যিনি ওই বিশেষ কাজ করছেন, তার কাজের ধরণ-ধারণ থেকে অনুমান পাওয়া যায় তিনি কেনো এবং কার জন্য কাজটি করছেন।
উপরের ভিডিওটিতে তেমনি একজন মানুষ কাজ করছেন। তিনি নিজে ইংরাজীতে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কেনো তার তৈয়ারী এই খাদ্য-সামগ্রীর মূল্য এতো বেশী!
তিনি একজন ‘কাবাব’ তৈরীর বাবুর্চি। তার কাবাবের নাম দিয়েছেন-“দি রয়েল”। তিনি ‘শাহরান’ রেস্তোরাঁর বাবুর্চি। তার এক অংশ কাবাবের দাম £৯২৫, যা বাংলাদেশী টাকায় ১লাখ টাকার উপর এবং এক হিস্যায় মোট ৩ পদের কাবাব থাকে। তার কথায় এই কাবাব প্রস্তুতে তিনি যে ‘ভিনেগার’ ব্যবহার করেন তার প্রতি বোতলের দাম ১৮৫ পাউন্ড এবং তা ২৫ বছরের পুরানো। বিশ্বখ্যাত জাপানী ওয়াগো গরুর মাংস, দুধে ভেজানো ভেড়ার মাংস ও কুঁচি কুঁচি করে কাটা ছাগলের মাংস দিয়ে তার কাবাবের পাত্র সাজিয়ে তৈরী হয়। তিনি যে মাশরুম ব্যবহার করেন তা ফ্রান্সে উৎপাদিত বিশ্বের সেরা মাশরুম। যে অলিভ তৈল ব্যবহার করেন তা সবচেয়ে দামী তৈল। এসবের সাথে তার পরিশ্রম ও অন্যান্য খরচ মিলে এ দাম হয়ে যায়।
এতো দাম হলে কি হবে! লন্ডনে টাকাওয়ালাদেরতো আর অভাব নেই। ঘুরতে আসা বিদেশী টাকাওয়ালারা জীবনের তরে একবার এই খাদ্যের স্বাদ নিতে পিছপা হন না। খবরটি আইটিভি’র।