লন্ডন: শুক্রবার, ২৭শে মাঘ ১৪২৩।। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, রাষ্ট্র বিরুধিতা এবং কালোমানুষের প্রতি ঘৃণা এখন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। অতি সম্প্রতি এক অভিযোগে জানা যায়, প্যারিসের শহরতলীতে ২২ বছরের একজন কলো যুবককে ৪জন পুলিশ অফিসার ধর্ষণ করেছে ফলে প্রতিবাদকারীরা মিছিল করে এর বিচার চাইছে। এমন ভয়ঙ্কর অসামাজিক খবর দিয়েছে সিএনএন এর বরাত দিয়ে নিউজ লেটার রুটস।
রুটস লিখেছে, প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় যে, ওই তথাকথিত পুলিশ অফিসারগন ২২ বছরের ওই যুবককে বলপ্রয়োগে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার পায়ূপথে পুলিশের হাতে থাকা লাঠি ঢুকিয়ে দেয়। “রুটস” যাকে ধর্ষণই বলেছে। ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্যারিস শহরতলীর “আউলনে-সউস-বয়েস” এলাকার একটি হাউজিং এস্টেটে। এসময় পুলিশ তাকে পরিচয়পত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনার বিচার দাবী করে প্যারিসে আয়োজিত প্রতিবাদ অবশেষে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ৫টি শহরে। মানুষ এই অত্যাচারের বিচার চায় যদিও অত্যাচারিত ওই যুবকের পরিচয় হিসেবে শুধু জানা গেছে তার নাম “থিও”। পুলিশ অফিসার চারজনকে এর জন্য দায়ী করে অভিযোগ আনা হয়েছে এর মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে বলে “ইন্টেরিওর মিনিস্ট্রি” জানিয়েছে।
ওই “থিও” গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের বিএফএম টেলিভিশনকে বলে, “ওই পুলিশ চারজনের গলার আওয়াজেই আমি বুঝতে পারে তারা কতটুকু উত্তেজিত। তাদের অবস্থা দেখে আমি একটি দেয়ালে পিঠ দিয়ে দাড়িয়ে নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করি। এসময় আমাকে একজন পুলিশ লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। অপর একজন পুলিশ তার হাতের লাঠি আমার পায়ূপথে লাগিয়ে সজোড়ে চাপ দিলে আমি কষ্টে হতভম্ব হয়ে দন্ডায়মান অবস্থা থেকে নিজের পেটের উপর পড়ে যাই। তখন তারা আমাকে হাতকড়ি পড়ায়।”
শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবাদকারীরা রাস্তার গাড়ী ও ময়লা বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তাদের সতর্ক করার জন্য ফাঁকা গুলি করে এবং সমস্যাসৃষ্টিকারী ১৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ফ্রান্স পুলিশ জানায়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কো হলান্দে হাসপাতালে গিয়ে “থিও”কে দেখেছেন। তার অবস্থা এখনও জঠিল রয়েছে। (রুটস থেকে সিএনএন এর খবর)