কেউ মাটির মূর্তির সামনে শুয়ে পড়ে, নাম দিয়েছে পূজা।
কেউ আড়াআড়ি বসানো দুটি কাষ্ঠখন্ডের সামনে মাথানিচু করে, নাম দিয়েছে প্রেয়ার।
আর কেউ পাঁচবেলা পশ্চিমে থাকা ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে বানানো এক ঘরের দিকে ফিরে মাথা মাটিতে ঠেকায়। নাম দিয়েছে নামাজ।
তিনজনকেই বলা হয়েছে, কল্পনা করো প্রভু তোমার সামনে।
কালীর মাথা ভেঙে মাটিতে পড়ে থাকে, ভগবান অক্ষম ক্রোধে কাঁদে। চার্চে কেউ ধ্বংশলীলা চালায়, যিশু নিজেই ক্রুশবিদ্ধ। হুসাইন ইবনে নুমায়েরের আক্রমণে কাবায় আগুন ধরে যায়, আল্লাহর ক্ষমতা হয় না সে আগুন নেভানোর।
তবু হিন্দু নতুন করে মূর্তি গড়ে, তবু খ্রিষ্টান আরো উঁচু করে চার্চ বানায়, তবু মোসলমান টুকরো হওয়া হজরে আসওয়াদে চুমু খেতে খেতে কালো করে ফেলে। কেউই বোঝেনা- ওই মূর্তি, ওই ক্রুশ, ওই কালো পাথরে মাথা ঠুকরে মরলেও কোন ভগবান-যিশু-আল্লাহর ক্ষমতা নেই মানুষকে বাঁচানোর।
মানুষকে বাঁচাতে পারে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার জামালউদ্দীনের মতো “মানুষ”। যে বুক ঠুকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো কয়েকশ এসলামি জানোয়ারের সামনে, কিছু মানুষকে বাঁচাবার জন্য।
জামালউদ্দীন তাই ওই কালীমূর্তির চেয়ে ক্ষমতাবান, ক্রুশবিদ্ধ যিশুর চেয়ে মহান, আল্লাহর চেয়ে শক্তিশালী।
মাহমুদুল হক মুনশি
শাহবাগ আন্দোলনের নেতা”