1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
একজন মাহমুদুল হক মুনসি - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

একজন মাহমুদুল হক মুনসি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬
  • ৩২৭ পড়া হয়েছে

12247186_1712125859005925_977820566691131128_n-683x445মুক্তকথা: লন্ডন, শনিবার ১৯শে কার্তিক ১৪২৩ বাংলা, ৫ই নভেম্বর ২০১৬।।  একজন মাহমুদুল হক মুনসি খুব চমৎকার মন্তব্য করেছেন তার ফেইচবুকে! তার মন্তব্য খুবই বস্তুনিষ্ঠ। এর চেয়ে সত্যনিষ্ঠ কথা আর কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। তার উক্তিগুলো, সামনে চলা মানব সভ্যতার শত্রুদের গালে চপোটাঘাত শুধুই নয়, পেছনে পড়ে থাকা ধর্মীয় মৌলবাদী মন-মানসিকতায় আচ্ছন্ন ধর্মব্যবসায়ীদের আসল চেহারার জানান দেয়। মাহমুদুল হকের মন্তব্যে মনে পড়ে বিদ্রোহী কবির কালোজয়ী সেই কথাগুলো যা কবি বলেছিলেন, ইচ্ছা অন্ধ ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্মনিয়ে হানাহানির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে। মানবতার কবি, সাম্যের কবি সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন এই হানাহানির ভবিষ্যৎ ভয়াবহতা। কবি তাই কোন ধরনের রূপকের আশ্রয় না নিয়েই সরাসরি লিখেছিলেন মানুষে মানুষে সাম্যের পক্ষে তার অমর গাঁথা। বিদ্রোহী তাই লিখেছিলেন-

“…মানুষেরে ঘৃণা করি’
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি’
ও’ মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর ক’রে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে।
…-মুর্খরা সব শোনো মানুষ এনেছে গ্রন্থ; -গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।”

ফেইচবুকে মাহমুদুল হক মুনসি লিখতে গিয়ে এতটুকুও কুন্ঠায় ভোগেননি। অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে খুবই স্পষ্ট ভাষায় তিনি লিখেছেন-

“আল্লাহর ক্ষমতা নেই মানুষকে বাঁচানোর !

কেউ মাটির মূর্তির সামনে শুয়ে পড়ে, নাম দিয়েছে পূজা।
কেউ আড়াআড়ি বসানো দুটি কাষ্ঠখন্ডের সামনে মাথানিচু করে, নাম দিয়েছে প্রেয়ার।
আর কেউ পাঁচবেলা পশ্চিমে থাকা ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে বানানো এক ঘরের দিকে ফিরে মাথা মাটিতে ঠেকায়। নাম দিয়েছে নামাজ।
তিনজনকেই বলা হয়েছে, কল্পনা করো প্রভু তোমার সামনে।

কালীর মাথা ভেঙে মাটিতে পড়ে থাকে, ভগবান অক্ষম ক্রোধে কাঁদে। চার্চে কেউ ধ্বংশলীলা চালায়, যিশু নিজেই ক্রুশবিদ্ধ। হুসাইন ইবনে নুমায়েরের আক্রমণে কাবায় আগুন ধরে যায়, আল্লাহর ক্ষমতা হয় না সে আগুন নেভানোর।

তবু হিন্দু নতুন করে মূর্তি গড়ে, তবু খ্রিষ্টান আরো উঁচু করে চার্চ বানায়, তবু মোসলমান টুকরো হওয়া হজরে আসওয়াদে চুমু খেতে খেতে কালো করে ফেলে। কেউই বোঝেনা- ওই মূর্তি, ওই ক্রুশ, ওই কালো পাথরে মাথা ঠুকরে মরলেও কোন ভগবান-যিশু-আল্লাহর ক্ষমতা নেই মানুষকে বাঁচানোর।

মানুষকে বাঁচাতে পারে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার জামালউদ্দীনের মতো “মানুষ”। যে বুক ঠুকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো কয়েকশ এসলামি জানোয়ারের সামনে, কিছু মানুষকে বাঁচাবার জন্য।

জামালউদ্দীন তাই ওই কালীমূর্তির চেয়ে ক্ষমতাবান, ক্রুশবিদ্ধ যিশুর চেয়ে মহান, আল্লাহর চেয়ে শক্তিশালী।

মাহমুদুল হক মুনশি
শাহবাগ আন্দোলনের নেতা”

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT