অবরোধকারীরা জানান, মানববন্ধন চালাকালে তার হাতে থাকা মরিচ ও এসিড মিশ্রিত বোতল ছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মানববন্ধনকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসী আফিয়া বেগমের বাসা দখল রেখে তার কেয়ারটেকার সহ এলাকার নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রিপন মিয়া, আমিনুর রশিদ, জুয়েল, বাসার ভাড়াটিয়া শাহানা, ফাতেমা আক্তার, কমলা বেগম, বাসার কেয়ারটেকার মোঃ হেলাল সহ অন্যান্যরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিকার চেয়ে স্বারক লিপি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আহমদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আমরা সাধারণ মানুষ তার জন্য নিরাপদে বসবাস ও চলাচল করতে পারছিনা না। প্রতিনিয়ত মামলা হামলার হুমকি দেখান। এমনকি আমাদের অনেককে জেলেও খাটিয়েছেন। প্রবাসী আফিয়া বেগমের বাসার কেয়ারটেকার মোঃ হেলাল বলেন, ফারুক আহমেদ আমাদেরকে ব্যবসা বাণিজ্য করতে দিচ্ছেন না, আমাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মামলা ও হামলার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যদি তোমরা আমার বিরুদ্ধে কিছু করো তাইলে আমি পুলিশ, র্যাব নিয়ে তোমাদেরকে গুম করে দিব। এসময় পুলিশ প্রশাসন তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে দেন। |
অভিযুক্ত সাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্তমানে ঢাকা সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাসার ভাড়া পরিশোধ রয়েছে। লন্ডন প্রবাসী আফিয়া বেগমের স্বামী হারুন মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বাসা থেকে বের হওয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, ওই মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। আদালতে যেহেতু মামলা চলমান রয়েছে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসা ত্যাগ করবো।
তার হাতে থাকা মরিচ ও এসিড মিশ্রিত বোতলের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক আহমদ বলেন, আমার হাতে এসিড থাকার প্রশ্নই আসে না। আমার হাতের বোতলে শরবত ছিল। আমি একজন ডায়বেটিক ও হার্টের রোগী, তাই আমি সবসময় শরবত সাথে রাখি। মানববন্ধনে হামলার অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি না নিয়ে মানবন্ধন করায় তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশকে জানান। এবিষয়ে তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনে মানববন্ধনস্থলে যাই ও পুলিশকে অনুরোধ করি যাতে এখানে কেউ মানবন্ধন না করে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ঘটনা শুনেছি অত্যন্ত দু:খ জনক, আমরা এ বিষয়ে বিব্রত আছি। ফারুক আহমদ এই জেলার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট ছিলেন, উনার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীর মামলা চলছে।
|