মুক্তকথা সংবাদ কক্ষ।। যৌন হয়রানিতে বাধা দেয়ায় পাকিস্তানে একজন হিজরাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে চার ব্যক্তি। “ট্রান্স একশন পাকিস্তান”এর বরাত দিয়ে “পিঙ্কনিউজ” নিশ্চিত করে বলেছে যে পুড়ে মারা যাওয়া ওই হিজরা ব্যক্তি একজন মহিলা ছিলেন। পুলিশ থেকে পাওয়া খবরের উল্লেখ করে এনডিটিভি’র বরাতে ইত্তেফাক লিখেছে, গত শনিবার লাহোর শহর থেকে আড়াইশ কিলোমিটার দূরের সাহিওয়াল জেলায় ঘটনাটি ঘটে। চার ব্যক্তি তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে যৌন হয়রানির চেষ্টা চালালে তিনি বাধা দেন। পরে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। মৃত্যু হয় হাসপাতালে নেয়ার পথে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রায় ৮লাখ হিজরা জনগোষ্ঠী আছেন বলে অনুমান। বিয়ে-শাদী বা অন্যান্য উৎসবে নাচনকর্মী হিসেবে তাঁরা খুবই জনপ্রিয় কারণ হিজরার নাচ মঙ্গল আনে বলে অনেকের বিশ্বাস৷
পাকিস্তানে তৃতীয় লিঙ্গের এই হিজরা মানুষজন প্রায়ই হামলার শিকার হন। ২০১৫ সালের ২৭শে জানুয়ারী এক নিবন্ধে প্রভাবশালী ‘ডন’ পত্রিকা লিখেছিল পাকিস্তানের হিজরারা নেচে ভয় কাটান। রাওয়ালপিন্ডি শহরে আঁধার নেমে এলে ওয়াসিমের মুজরা শুরু হয়৷ ২৭ বছর বয়সি ওয়াসিম নাচেন “হিজরা” হিসেবে, যাকে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ বলা হয়ে থাকে৷ গত বছর দেশটিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য নিরসনে প্রথম একটি আইন করা হয়। তবে বাস্তবে এটি কার্যকর হয়নি।
গত ২৫শে জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এই হিজরা বা তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছিল। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের ভাগ্যে জোটে শুধুই বিদ্রূপ আর ঘেন্না। শিক্ষা, চাকরি সকল ক্ষেত্রেই এই শ্রেণীর মানুষ নির্যাতনের শিকার বলতে গেলে সুদূর অতীত থেকেই।