কমলগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন্দলে ভুগছিল উপজেলা বিএনপি। অভ্যন্তরীন নেতৃত্বের এ কোন্দলে জর্জরিত হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি দ্বিধা বিভক্তি হয়ে পড়েছিল। এর প্রভাব ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কমলগঞ্জে বিএনপি বিভক্তির কারণে শক্ত-সমৃদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে পারছিলো না। সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে গোটা জেলায় বিএনপি পরিবারে এক ঐক্যের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। একের পর এক দলীয় কোন্দল মেটানো হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজনগর, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দল মিটে গিয়ে দলের উপজেলা থেকে সকল স্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে পরিষদ গঠনের পথে হাঁটছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর) রাতে জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন কমলগঞ্জ উপজেলার দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটাতে কমলগঞ্জ ডাকবাংলোতে উপজেলা বিএনপির দুটি অংশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। তিনঘন্টা ব্যাপী চলা এ বৈঠকে দুই অংশের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করে নেতৃবৃন্দকে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে দল গঠনে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। জেলা আহবায়কের আহবানে কমলগঞ্জ বিএনপির দুটি অংশের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভক্তি দূর হচ্ছে। জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা ও পৌরসভায় দলের কোন পর্যায়ে আর দ্বিধা বিভক্তি থাকবে না। আমি যে উপজেলায় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছি সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
বৈঠকে অংশ নেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সমন্বয়ক স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, সেলিম সালাউদ্দিন, মাহবুব ইজদানী ইমরান, দুরুদ আহমদ, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফি, আবু ইব্রাহিম জমশেদ, শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, ইকবাল পারভেজ চৌধুরী শাহিন, আলম পারভেজ চৌধুরী সোহেল, মো: আবুল হোসেন, সফিকুর রহমান, সারওয়ার শোকরানা নান্না, জুয়েল আহমদ, লোকমান চৌধুরী প্রমুখ।