খালেদা জিয়া সৌদি আরবের শপিং মল ‘আল আরাফাহ’ এবং কাতারের বাণিজ্যিক ভবন তিপরা’র মালিক বলে জানাগেছে কানাডাভিত্তিক টেলিভিশন ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল’এর এক সংবাদে। ওই সংবাদে আরো জানাগেছে যে খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকো কাতারে ‘ইকরা’ নামে একটি বহুতল ভবনের মালিক। আরবের দেশসহ ১২টি দেশে খালেদা জিয়ার পরিবারের মোট ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে বলেও জানানো হয় ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল’এর ওই সংবাদ প্রতিবেদনে। বাংলাদেশি টাকায় এই পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা। নতুন সময়.কম এ খবর দিয়েছে।
টেলিভিশন ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল’এর খবর প্রচারের পর, দু’টি ছাড়া বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যম সে খবরটি প্রকাশে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুটি টেলিভিশন ও দুটি পত্রিকা ছাড়া বাকিরা সব তারেক জিয়ার ধমক খেয়ে হাত গুটিয়ে, লেজ গুটিয়ে বসে আছে।’ তিনি, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার সৌদি আরব সফরের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘একবার খবর হয়েছিল নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে, প্রায় দেড়শ সুটকেস নিয়ে চলে গিয়েছিল, তখন প্রশ্ন উঠেছিল এই সুটকেসে কী আছে?’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে টাকা পাচার, মানিলন্ডারিং, এটা যে খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা করেছে, এটা তো আমরা বের করিনি। একটা বেরিয়েছে আমেরিকা থেকে, আর একটি সিঙ্গাপুর থেকে। আমরা টাকা ফেরতও এনেছি, এটা তো মিথ্যা না।
সৌদি আরবে খালেদার ‘অর্থপাচারের’ বিচার হবে বলেও এক প্রশ্নের জবাবে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানিলন্ডারিং করে পাঠানো টাকা ফেরত এনেছি এবং আরো প্রক্রিয়া চলছে। সম্প্রতি বের হয়েছে সৌদি আরবে এবং এটা খুঁজে বের করে দিয়েছে সৌদি আরব। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।” ‘আইন অনুযায়ী মানি লন্ডারিং এর বিচার বাংলাদেশে হবে এবং এটা হওয়া উচিতও। কারণ এভাবে দেশের উন্নয়ন না করে, দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে, দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়ে বাইরে সম্পত্তি বানানোর কী অধিকার আছে, এটা আমাদেরও প্রশ্ন। অবশ্যই এর বিচার হবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই।’