স্লোভাকিয়ার দু’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘নিত্র’ এবং ‘ব্রাতিসলাভা’র মধ্যে ৩৫ মিনিটের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করলো আদিরূপের(প্রটোটাইপ) উড়ন্ত দোআঁশলা(হাইব্রিড) গাড়ী। আদিরূপের এই উড়ন্ত গাড়ীটি বি এম ডব্লিউ ইঞ্জিনে পরিচালিত এবং সাধারণ পেট্রোল ব্যবহার করেই চলে। উড়াল এই গাড়ীটির নির্মাণ কারিগর অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন জানিয়েছেন তার নির্মিত এই উড়াল গাড়ীটি প্রায় ৬০০ মাইল আকাশ পথ পাড়ি দিতে পারে এবং সর্ব্বোচ্চ ৮,২০০ ফুট উচ্চতায় উড়াল দিয়ে চলতে পারে। পাশাপাশি কমপক্ষে একনাগাড়ে ৪০ঘন্টা আকাশে থাকতে পারবে। খবর বিবিসি’র
অধ্যাপক ক্লেইন বিমানবন্দরের দৌড় পথে(রানওয়ে) নিজেই চালিয়ে উড়ে নিয়ে আসেন এবং শহরের রাস্তায় নামেন ও কিছু পথ চালান। এসময় আমন্ত্রিত সাংবাদিকগন তার উড়াল গাড়ী চালনা প্রত্যক্ষ করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান যে তার উড্ডয়ন ছিল খুবই স্বাভাবিক ও আনন্দদায়ক। আকাশে উড়াল অবস্থায় গাড়ীটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার। উড়াল এই গাড়ীটি দু’জন মানুষ বহন করতে সক্ষম এবং ২শত কিলোগ্রাম মালপত্র বহনে সক্ষম। তবে উড়াল গাড়ীটি খাড়াভাবে উপরে উড়তে পারে না ফলে তার উড়াল দেয়ার জন্য একটি দৌড়পথের(রানওয়ে) দরকার।
২০১৯সালে পরামর্শক কোম্পানী ‘মর্গান স্টেনলি’ অনুমান করেছিল এইরূপ উড়াল গাড়ীর ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করার মত একটি বাজার সৃষ্টি হয়ে আছে। গত এক মঙ্গলবারে এক ব্যবসা অনুষ্ঠানে হুন্দাই মটরের ইউরোপ প্রধান মাইকেল কোল বলেছেন-“এটি আমাদের ভবিষ্যতের একটি অংশ।” বর্তমান যোগাযোগ কাঠামোর উপর যে অকল্পনীয় চাপ রয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে এটি হবে তার জন্য একটি মহা সমাধান।
অধ্যাপক ক্লেইনের উড়াল গাড়ী বানানোর এই মনোষ্কামনাকে পূর্ণ করার পেছনে যে কোম্পানী কাজ করছে তারা বলেছেন, উড়াল গাড়ীটি বাজারজাত করতে আরো ২বছর সময় লাগবে এবং এর মূল্য থাকবে কমপক্ষে ১.৭ মিলিয়ন পাউণ্ড।
ইতিমধ্যেই আমেরিকায় প্রায় ৪০হাজার এ ধরনের গাড়ীর চাহিদা নিরূপন করা হয়েছে। বিবিসি থেকে অনুদিত