ঢাকা: দেশে ঢাকার মিরপুরে “এনিমে কনভেনশন” এর সন্মিলনী হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ই জুলাই। এ নমুনারই একটি টিকিটের ছবি পেয়েছি। ওদের মিডিয়া পার্টনার রয়েছেন দৈনিক সান পত্রিকা ও ‘রেডিও ধল’ নামের একটি বেতার মাধ্যম। তাদের ‘ইভেন্ট পার্টনার’ হিসেবে কাজ করছে ‘আর্টস সাকুরা’ ও ‘যোডিয়াক কর্নার’ নামের দু’টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
ঢাকার মিরপুরের “কনভেনশন সেন্টারে” এ সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রবেশপত্রের মূল্য আছে ২০০টাকা। তবে এখনই আগাম খরিদ করলে শতকরা ২৫ভাগ ছাড় দেয়ার বিজ্ঞাপনও আছে।
কি সেই ‘এনিমে কন’: ইংলিশ ‘এনিমেশন’কে জাপানীরা সংক্ষেপ করে বলে ‘এনিমে’। এই ‘এনিমেশন’এর কাজ আগে বা এখনও হাত দিয়ে করা হয়, এখন কম্পিউটার দিয়েও করা হয়। আমাদের বাংলাভাষায় এই ‘এনিমে’ বা ‘এনিমেশন’কে বুঝানো বেশ কঠিন। অনেক লাইন দিয়ে বুঝাতে হবে। তাও প্রকাশ বেশ জটিল হবে। তবুও বলার চেষ্টা করি। প্রথমতঃ ‘এনিমেশন’ মানে গতির মধ্য দিয়ে প্রাণী বা বস্তুর যে পরিবর্তন আসে সেই পরিবর্তনগুলোর সুক্ষ বিশেষ ক্ষনের স্থির চিত্র আঁকিয়ে দেখানোই ‘এনিমেশন’ বা জাপানী কথায় ‘এনিমে’। সাধারণতঃ আমরা যে কার্টুন আঁকি ‘এনিমেশন’ তা নয়। একটু ভিন্ন খেয়াল ও কায়দার অংকন, যা পরিবর্তনের সেই সুক্ষ ক্ষনগুলিকে তুলে ধরে। আরো সংক্ষেপে বলতে গেলে অংকিত চিত্রমালার ছবি তোলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ যেমন “টম এন্ড জেরি” এনিমেটেড চলচ্চিত্র।
জাপানে এই ‘এনিমে’র ব্যবসায়িক সূচনা যতদূর জানা গেছে ১৯১৭ সালে। ১৯৬০ সাল থেকে, শিল্পী ডাঃ ওসামু তেজুকা তার অংকনের মধ্য দিয়ে এনিমে-কে জনপ্রিয়তা এনে দেন এবং বিংশ শতাব্দির দিকে এই অংকন পদ্বতি আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছায়। তেজুকা ছিলেন একাধারে শিল্পী, কার্টুনিস্ট, এনিমেটর, চিত্রনির্মাতা, ডাক্তার ও একজন সমাজকর্মি।
যতদূর জানা যায় ১৯১৯ সালে প্রথমে এই ‘এনিমে’র প্রথম সম্মলনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল আমেরিকায়। এর পর অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আজ এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এনিমেশন এখন দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বহুল ব্যবহৃত একটি অংকন ও চলচ্চিত্র মাধ্যম। দুনিয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলোতেই নিজ নিজ দেশের আদলে ‘এনিমে’ পদ্বতির অংকনের বিকাশ ঘটেছে এবং ঘটছে। এ পদ্বতির আঁকিয়ে শিল্পীদের নিয়ে বছর বছর সম্মিলনী হয় দুনিয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলিতে বিশেষ করে জাপানে ও আমেরিকায়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও এর প্রয়াস শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে নিশ্চয়ই জাপান, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, ফ্রান্স, জার্মান প্রভৃতি দেশের মত এনিমেশনের শিল্পী গড়ে উঠেনি। সে বাজারই আমরা সৃষ্টি করতে পারিনি। আমরা এখনও বাঙ্গালী না মুসলমান, পাকিস্তানের আদলে মুসলমানদের দেশ বলে চালাবো না-কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো সে লড়াই বিভিন্ন নমুনায় চালিয়ে যাচ্ছি। যে অল্প কয়েকজন এ লাইনে পেশার ভিত্তিতে কাজ করছেন তাদের নিয়ে সম্মেলন করার মত অবস্থায় আমরা পৌঁছাতে পারিনি বলেই আমাদের ধারনা। অপেশাদার, সৌখিন, নতুন প্রজন্মের আঁকিয়েদের নিয়ে এ নমুনার আয়োজন কি সুফল বয়ে আনতে পারে, চিন্তা করতে গিয়ে সে দেশে আমরা পৌঁছাতে পারিনি। তার অর্থ এই নয় যে আমরা এ আয়োজন করতে পারবো না। অবশ্যই পারবো। তবে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার ঘোষণা থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আমাদের অর্জনের রূপরেখা বিবৃত থাকতে হবে। যা আমরা “এমিমে কন- ঢাকা”র টুইটার বা ফেইচবুকে গিয়ে পাইনি।
আর সেহেতু বাংলাদেশের আয়োজনকারীদের ফেইচবুকে মেসেজ দিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম তাদের এই সম্মিলনীতে যোগ দিলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পাওয়ার কি আছে? দেরীতে হলেও তারা উত্তরে জানিয়েছেন-
Thank you for your interest. We will have a total of two competitions in the Convention.
The first one is an art competition, where participants will submit their own drawn works. The best drawn works will receive a gift hamper from the AnimeCon team, and a certificate of appreciation. There will be 3 arts chosen.
The second will be a games competition, inside the venue. A total of 48 participants can compete in 2 vs 2 matches. The winner, of which will be 3 will receive gift hampers and a trophy for their victory. We also plan to hold more similar events in the future.
অতএব বুজো হে সুজন…!