মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)এর বিভিন্ন সড়ক ধারে লাগানো সামাজিক বনায়নের অর্ধশতাধিক মূল্যবান গাছ চুরি হয়েছে। গত দু’তিনদিনে মাধবপুর বাজার থেকে পাত্রখোলা সড়কের পাশ থেকে বড় আকৃতির বারোটি, আদমপুর থেকে নইনারপার সড়কের ধারে সাতটি আকাশমনি ও মেহগনি এবং গত কয়েকমাসে পতনঊষারের নয়াবাজার-চৈত্রঘাট সড়ক থেকে আরও একাধিক গাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তবে মাধবপুর বাজার থেকে পাত্রখোলা সড়ক থেকে কাটা ২০ খণ্ড গাছ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রুশম মিয়া, আমান মিয়া, কাসেম আহমদ, শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক বলেন, মাধবপুর-পাত্রখোলা সড়কের পাশ থেকে গত দু’তিন দিনে একই এলাকার বাবুল পাশী, দ্বিপেন পাশি, সিপেন পাশি, সুজন ভর, রাম নারায়ন ভর বড় বড় সাইজের বারোটি আকাশমনি গাছ কেটে খণ্ড করে নিয়ে গেছে। বারোটি মূল্যবান গাছের কাঠের মূল্য প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা হবে বলে তারা দাবি করেন। তবে খবর পেয়ে ভানুগাছের একটি স’মিল থেকে বনবিভাগ কয়েক টুকরো কাঠ আটক করেছে।
|
এদিকে উপজেলার আদমপুর বাজার থেকে নইনারপার বাজার সড়ক ধার থেকে গতকাল শুক্রবার ভোরে আকাশমনি ও মেহগনি প্রজাতির সাতটি বড় সাইজের গাছ কেটে নিয়েছে দুবৃত্তরা। এই সাতটি গাছের বাজার মূল্য প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা হবে বলে স্থানীয়রা জানান। আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন গাছ চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাছ চোরদের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মূল্যবান গাছ কেটে নেয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং সরকারও রাজস্ব বঞ্ছিত হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে এই সড়ক থেকে প্রায় ৩০টি গাছ চুরি হয়েছে এবং এ নিয়ে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও উত্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জানান, ইউনিয়নের এলজিইডি’র নয়াবাজার-চৈত্রঘাট সড়ক ধার থেকে গত কয়েক মাসে প্রায় শতাধিক গাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করেছি। তারপরও গাছ চুরি রোধ হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
|