মুক্তকথা সংগ্রহ।। প্রকৃতি সত্যি বিচিত্র আর রহস্যময়! প্রকৃতির এমন রহস্যময়তার কোন সুরাহা করা যায়নি আজো। প্রকৃতিতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার কোন সূত্র খুঁজে পায় না মানুষ, অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞানও। বেশী উদাহরণ দেয়ার মনে হয় তেমন প্রয়োজন নেই। এই নিচের ছবিটিই দেখুন না। প্রথম দর্শনে খুবই মামুলি একটি বিষয় মনে হবে। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে প্রকৃতির রহস্যময়তার বিচিত্রতা মনে একটু বিনোদনই দেবে। ছবিটি সংগৃহীত হয়েছে বিশ্বজিৎ দেভের ফেইচবুক থেকে। একবার ভাবুনতো আস্তো আমটি গাছে ঝুলে আছে অথচ ঝকঝকে সেই আম ফুঁড়ে আমের কঁচি গাছ বেরিয়ে এসেছে। এরকমটি হঠাৎ করেই কি ভাবা যায়?
প্রকৃতির এমন কর্মকাণ্ডকে অনেক লেখক সাহিত্যিক হেয়ালী শব্দ দিয়ে প্রকাশ করেছেন। ধরুন আমাদের চোখের দেখা মহাকাশ। মহাকাশ নামক শব্দ দিয়ে আমরা প্রকৃতির বিশাল শূণ্যতাকে বুঝিয়ে থাকি। অজানা অনন্ত এই শূণ্যতায় কত কিছু যে আছে তা আজো পুরোপুরি মানুষ জানে না। মানুষ কোনদিন এমন অদেখা শূণ্যতায় বিরাজমান সবকিছুর খোঁজ নিতে পারবে কি-না তা ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। মানুষ আশা করে এক সময় না এক সময় প্রকৃতির এই রহস্যময়তাকে মানুষ জয় করতে পারবে। সেটি মানুষের আশা বৈ অন্য কিছু নয়।
বলা হয় আমাদের সৌর পরিবারের মত মহাশূণ্যে ভাসমান কত লক্ষকোটী সৌর পরিবার ছাড়াও আরো কতকিছু যে আছে তার কোন সঠিক বিবরণ, মানুষতো নয়ই বিজ্ঞানও কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। অবশ্য বিজ্ঞান না ও বলেনি। বিজ্ঞানের কথা, মানুষের জ্ঞান চর্চ্চাও অনন্ত অসীম। এর কোন নিকাশ নেই। বলতে গেলে বিগত এক শত বছরের অবর্ণনীয় প্রচেষ্টায় মানুষ চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পেরেছে। অবর্ণনীয় বললাম এজন্য যে এই চাঁদের মাটিতে নামতে গিয়ে মানুষকে কত মূল্য দিতে হয়েছে তা হিসেব করাও এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হয়ে দাঁড়াবে। চাঁদে যাবার খরচ যোগান দিতে গিয়ে বিশ্বের দুই সেরা শক্তিধর দেশ রাশিয়া ও আমেরিকাকে বিগত ৭০-৮০ বছর কত যে রাজনীতি, কূটনীতি হানাহানি-মারামারি এমনকি যুদ্ধ আর খুনোখুনি করতে হয়েছে সে গুলো হিসেব করাও মহাশূণ্যের মতই এক অধরা কাজ।
বলা হয় ২কোটি বছর সময় লেগেছে প্রানের মানুষ আকার ধারণ করতে। তা’হলে মহাশূণ্যের না জানা কোটি কোটি অসংখ্য বিষয়ের খোঁজ নিতে কেমন সময় লাগবে মানুষের, এমন ভাবা অনেকটা পাগলামো বলেই অনেকে বলতে পারেন। তাই বলে অবশ্য মানুষ দমে নেই, মানুষের আবিষ্কারের অভিযান অনাগত অনন্তকাল চলবে এ যেমন বলে দেয়াই যায় আবার কেউ যদি বলে, না না, দেখা-অদেখা যা কিছু আছে তাসব একদিন ভেঙ্গে চুরমার টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। দেখার কিছুই আর থাকবে না। মানুষও থাকবে না। শুধুই শূণ্যতা! এর উত্তরে শুধু এতোটুকুই বলা যাবে যে এ শূণ্যতার পরে কি হবে?
হারুনূর রশীদ, লণ্ডন শনিবার ২৭জুন ২০২০