মুক্তকথা, লন্ডন: জিএমবি আকাশ। একজন আলোকচিত্র শিল্পী। থাকেন ঢাকায়। মূলত তিনি ঢাকারই মানুষ কি-না জানিনা। ফেইচবুক দিয়ে পরিচয়। ফেইচবুকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাহিনী নিয়ে আসেন। অভূতপূর্ব সেসব কাহিনী। প্রতিটি কাহিনী আমাদের সংবাদপত্রের শিরোনাম হবার যোগ্যতা রাখে।
ফেইচবুক থেকেই বুঝতে পেরেছি অসম্ভব এক আত্মীক আকর্ষণ তার আলোকচিত্র শিল্পের উপর। অবশ্য হবারই কথা। তার নিজের কথায়ই জেনেছি, তার বাবাও একজন সৌখীন আলোকচিত্র গ্রাহক ছিলেন।
আজ থেকে ছাব্বিশ বছর আগে প্রায় চৌদ্দ বছর বয়সে তার বাবার পুরানো ক্যামেরা দিয়েই শুরু করেছিলেন পথচলা। এসব জেনেছি তার নিজের কথা থেকেই। তারই ভাষায়, শুরু করেছিলেন পা পা করে হাটা, এক অজানাকে জানার এক অব্যক্ত বাসনা থেকে। বন্ধু-বান্ধবের কাছে তিনি ছিলেন এক ছন্নছাড়া ভবঘূরে! অবশ্য এই খেতাবের জন্য তিনি খুশীই ছিলেন। এমত একটি জীবনকে তিনি আসলেই ভালবাসেন।
তার কথায়, পাশের বাড়ীর প্রতিবেশী বধু যে কি-না প্রতিরোজ স্বামীর হাতের প্রহারে চিৎকার করে, সেই ছিল তার ক্যামেরার বিষয়; তার আলোকচিত্র গল্পের পটভূমি। প্রানচঞ্চল চপল কিশোরীর নিষিদ্ধ নৃত্যে ছিল তার কৌতূহল! এসব বিষয়ে জানার আগ্রহ তাকে তাড়িত করতো। তিনি তাদের অসহায়ত্ব, দুঃখ-বেদনা জানতে চাইতেন অন্তর থেকে। তার আবেগি মনের তৃষ্ণা আর ওদের মামুলি দুঃখদশাই তাকে বের হয়ে আসার রাস্তা দেখায়। তিনি শুরু করেন তাদের দুঃখ-দূর্দশার চিত্রায়ন আর ওই কদাকার বিশ্রীতেই তিনি খুঁজে পান শিবম সুন্দরম! হতাশার মাঝে সান্তনা আর এমন দমবন্ধ হওয়া শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়ও স্বপ্ন দেখার মন্ত্র!
আকাশ তার ফেইচবুকে লিখেছেন- আমি কোন ছবি বিপ্লবী নই বরং আমি অতি ক্ষুদ্র এক গল্পকথক। আমার এমন কিছুই নেই যা আছে তা’হল ঝুলি ভরা বস্তুলোকের গল্পকথা।
জিএমবি আকাশের এসব গল্পকথা ‘ন্যাশনেল জিওগ্রাফি’সহ শতাধিক আন্তর্জাতিক মানের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এবং তিনি শতাধিক আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।