লণ্ডন।। জাতি সংঘের প্রাক্তন সেক্রেটারী জেনারেল কফি আনান আর নেই। সুইজারল্যান্ডের বার্ণ-এর হাসপাতালে আজ ১৮ই আগষ্ট শনিবার সকালে কফি আনান পরলোক গমন করেন।
গার্ডিয়ান থেকে জানা যায়, জাতি সংঘ অফিস থেকে আজ শনিবারই এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও আনান ফ্যামিলি এবং কফি আনান ফাউন্ডেশন থেকে শনিবারেই এক টুইটে বরেণ্য এই নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। সংবাদ মাধ্যম গণমাধ্যম সর্বত্র বিশ্ববরেণ্য এই নেতার খবর সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ থেকে বলা হয়- “৮০ বছর বয়সে জাতি সংঘের প্রাক্তন সেক্রেটারী জেনারেল কফি আনান পরলোক গমন করেছেন। এই ‘ঘানাইয়ান’ ছিলেন জাতিসংঘের ৭ম সেক্রেটারী জেনারেল ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল অবদি এবং নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন তার মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য। কোমাছি নামক স্থানে ১৯৩৮সালের ৮ই এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহন করেন, তিনিই ছিলেন জাতিসংঘের প্রথম সেক্রেটারী জেনারেল যিনি জাতিসংঘের কর্মচারী থেকে এ পদে আসীন হয়েছিলেন।”
আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে কফি আনানই প্রথম জাতিসংঘের মহাসচিব হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই দফায় বিশ্বের শীর্ষ কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিরিয়া বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করেন। তার নেতৃত্বেই আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ায় সাড়ে সাত বছরের গৃহযুদ্ধের ইতি টানার চেষ্টা চলছিল।
২০০১ সালে নোবেল পুরস্কারজয়ী কফি আনান মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান নিয়েও কাজ করছিলেন। রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতিকে ‘মানবাধিকার সংকট’ বলেছিল কফি আনান কমিশন।
এক টুইটে বলা হয়, “আনান ফ্যামিলি ও কফি আনান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে যে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও নোবেল পুরস্কারজয়ী কফি আনান আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। সংক্ষিপ্তকাল অসুস্থ থাকার পর ১৮ আগস্ট শনিবার খুবই শান্তিতে তিনি পরলোক গমন করেন।”