গত প্রায় ৩ মাস ধরে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের তান্ডব চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী নানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১৫০ টি দেশে করোনাভাইরাসে ্আক্রান্ত হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে ততই এই রোগ বিস্থার লাভ করছে। প্রতি দিনই মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন আর এই রোগ নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল বা এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়। এখন এই রোগ মহামারী রুপ ধারন করেছে। সব চাইতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে ইউরোপীয় দেশ সমূহ। ইতালীর অবস্থা ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। ঐ দেশে সব কিছু বন্ধ ঘোষনা করে দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছে। করোনার তান্ডবে কানাডা সরকার তাদের জাতীয় সংসদ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রায় অর্ধেক পৃথিবীর সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে।
ইতি মধ্যে ইরান, কোয়েত ও তিউনিসিয়ায়
মসজিদে নামাজ পড়া স্থগিত করা হয়েছে।
এখন আসল কথা হল এ রোগ সৃষ্টি হল কি ভাবে? জানা যায় যে গত ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ চীন দেশের উহান শহরে এ রোগের উদ্ভব হয়। এবং এক সময় এ রোগ সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন এই রোগের উৎপত্তি স্থান কে এক ধরনের মানুষ নানা ভাবে ঐ অঞ্চলকে এ রোগের জন্য দয়ী করছে। তারা ধর্মীয় চেতনা থেকে বিষয়টিকে বিবেচনা করছে এবং এই রোগ সৃষ্টি কর্তার গজব বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার করছে। আর এই গজব নাজিল হওয়ার কারন হিসাবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে যে, চীন দেশের ৩ জন সৈনিক নাকি জনৈকা আয়শা নাম্মী এক
মুসলিম যুবতিকে ধর্ষণ করেছে। এ সময় এই মুসলিম মহিলার আর্তচিৎকারে আল্লাহর আরস নাকি কেপে উঠেছিল। এ জন্য সৃষ্টি কর্তা রুষ্ট হয়ে ঐ দেশের মানুষকে শাস্তি দেয়ার জন্য করোনা ভাইরাসকে প্রেরন করেছেন। এটা মানুষের পক্ষে রোধ করা সম্ভব নয়। গুজব রটনায়
বাংলাদেশও থেমে নেই। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ায় গুজব রটানো হয় যে ৭ টি তুলসী পাতা খেলে আর করোনা ভাইরাস হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই গুজব চাউড় হওয়ার ফলে এলাকায় তুলসী গাছের বংশ ধ্বংশ হয়ে গেছে। এ রকম প্রচুর নানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হচ্ছে। এই সব অপপ্রচারের ফলে সাধারণ আম জনতা প্রকৃত বিষয়টিই বুঝতে পারছে না। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। অতচ সরকার বারবার করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য গণ সচেতনতা সৃষ্টির ঘোষনা দিচ্ছে। বাংলা দেশ সরকার করোনা ভাইরাস ঠেকানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং এ ব্যাপারে সরকার খুব সতর্ক অবস্থায় আছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। এক মাত্র বাংলা দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় কেহ মারা যায়নি। এটা নিঃসন্ধেহে বাংলা দেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন। কিন্তু এই অর্জনকে ধর্মব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গজব আখ্যায়িত করে ম্লান করে দিচ্ছে। যদি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর গজব কে মান্য করে বসে থাকেন তা হলে এই রেগের প্রতিসেদক আবিস্কার করা যাবে না। কিন্তু বাস্থবতা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের ঔষধ আবিস্কারের গবেষনা চলছে এবং এক সময় ঔষধ আবিস্কারও হবে, তখন দেখবেন ঐ সব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঠিকই করোনার ঔষধ ব্যবহার করছে। তখন কিন্তু গজব বলবে না। এদের কোন লাজ- লজ্জা নেই। এরা বেহায়া, নিমকহারাম। অতএব, এই সব বেহায়াদের কথায় বিশ্বাস না করে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সকলের প্রতি অনুরোধ, আপনারা কোয়ারেনটাইনে থাকবেন, নিজ কে, নিজের পরিবার তথা সমাজকে করোনা মুক্ত রাখতে সচেষ্ট হবেন। যে খানেই থাকেন সুস্থ থাকেন, সুরক্ষিত থাকেন এই কামনা করি।
গীর্জাপাড়া, মৌলবী বাজার ০১৭১২-৪৫ ৯৯ ৪১