মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ৪৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ শরিফ উদ্দীন, ৪৪ বছর বয়সী মিজানুর রহমান, ৪৫ বছর বয়সী সাদিকুর রহমান এবং ৪১ বছর বয়সী আবুল কালাম এই চারজন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীকে পরিকল্পিতভাবে কর ফাঁকী ও আত্মসাতের অপরাধে বৃটেনের ‘ক্রাউন কোর্ট’ সাজা প্রদান করেছে। বিরাট অঙ্কের এই কর আত্মসাতের পুরো কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে লিখেছে “বার্মিংহাম লাইভ’।
মিজান ও সাদিকুর, তাদের প্রত্যেকের ৩বছরের জেল দণ্ড হয়েছে। শরিফ উদ্দীন ও আবুল কালামের ২বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই ৪ কর ফাঁকীবাজ শুধু ৫০০,০০০ পাউণ্ডের কর আত্মসাৎই করেনি উপরন্তু তারা তাদের আয়ের মিথ্যা হিসেব দিয়ে আরো ২৯৫,০০০ পাউণ্ডের ‘ট্যাক্স ক্রেডিট’ চুরি করেছে। কর ও শুল্ক বিভাগের কাছে তাদের এসব অপকর্ম ধরা পড়েছে। জেল দণ্ডের পাশাপাশি তারা আগামী ২৪ বছর সময় পর্যন্ত কোন ব্যবসার পরিচালক পদ নিতে পারবে না।
জানা গেছে, মিজানুর রহমান নামের ওই কর ফাঁকীবাজ করফাঁকী ও ট্যাক্সক্রেডিট চুরির টাকায় ফ্লোরিডা, মৌরিতাস ও দুবাই ভ্রমন করেছে, ১৭৫,০০০ পাউণ্ডের মত অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে এবং মিডল্যাণ্ডে ভাড়াদেয়া বাড়ীঘর ক্রয় করেছে।
রাজকীয় জাল তদন্তকারী সংস্থার সহকারী পরিচালক রিচার্ড মায়ার-এর উদৃতি দিয়ে ‘বার্মিংহাম লাইভ’ লিখেছে, এসব জালিয়াতরা খুবই পরিকল্পিতভাবে বিশ্বনিন্দক সেজে বৃটেনের করপদ্বতির অপব্যবহার করেছে। করেছে তাদের ভোগবাদী জীবন ধারার খরচ সংকুলান করতে।
এবার তাদের সেই অর্থ ফেরৎদানের পালা এসেছে। কর ও শুল্ক তদন্তকারীগন ২০১৫ সালে এদের গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর বার্মিংহামের ক্রাউন আদালতে মামলার শুনানী চলাকালে তারা সকলেই তাদের চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। ২০১৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর এই মামলার শুনানী হয়েছিল। আর আজ ১৬ই নভেম্বর আদালত সাজা ঘোষনা করেন।
উল্লেখযোগ্য যে এ পর্যন্ত চুরির ৫৩৮,০০০ পাউণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকী অর্থ উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত আছে।