মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি অসাধারণ। এ ধরনের শিল্পকর্ম বাংলাদেশে অতীতেও হতে শুনিনি আর বর্তমানেও কেউ কেউ করছেন এমন খবর শোনা যায়নি। যদি কেউ দেশের কোথায়ও করেও থাকেন তা’হলে সে শিল্পকর্মগুলো মানবচক্ষের অন্তরালেই রয়ে গেছে আজ অবদি। বহু ভাষ্কর বাংলাদেশে আছেন। তাদের শিল্পকর্ম কাঠে খোদাই যেমন আছে তেমনি ইট-পাথর আর রড-সিমেন্টেও আছে। কিন্তু এমন দৃষ্টি নন্দন নিখুঁত কাঠ নির্মিত ভাষ্কর্য সত্যিই দূর্লভ। অন্ততঃ এমন খবর আগে কখনও দেখিনি, কখনও শুনিও নাই।
ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের “ছলিমপুরের যুবলীগের যুবরাজ” নামের এক ফেইচবুকে অনিন্দ সুন্দর সেই ভাষ্কর্যের একটি ছবি দেয়া হয়েছে কিন্তু স্বার্থক সাধক সেই ভাষ্করের নাম দেননি সেই যুবরাজ তার ফেইচবুকে। কেনো শিল্পীর নামটি দেননি তা’ জানার সুযোগ আমাদের হয়নি।
চমক লাগার মত কাঠের সে ভাষ্কর্যটি জাতির জনক প্রয়াত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। ফেইচবুকে থাকা অতি সামান্য তথ্য মোতাবেক নাম না জানা সফল সে শিল্পী দীর্ঘ ৬বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে কাঠের উপর নির্মাণ করেছেন তার অমর কীর্তি- আরাম কেদারায় বসা বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য। শিল্পী সবসময় একখানা সাদাকাপড়ে তার সাধনার শিল্পকর্মটি সযত্নে ঢেকে রাখেন। তার শেষ ইচ্ছা, তার এ শিল্পকর্মটি তার অবর্তমানে যেনো বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে রাখা হয়। এমন নান্দনিক শিল্পকর্মটিকে যাদুঘরে রাখার পাশাপাশি শিল্পীর সার্থক সাধনাকে সম্মান দেখানোর লক্ষ্যে অমূল্য এ ভাষ্কর্যের জন্য শিল্পীকে পুরষ্কৃত করা উচিৎ বলেই আমরা মনে করি। এতে করে ভাষ্কর্য শিল্পের প্রতি নতুন প্রজন্ম নতুন আশার আলো দেখতে পাবে।