মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান আজ মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর বিকেলে শ্রীমঙ্গলের কালাপুরে বৃটিশ কাউন্সিলর জেরিনের পরিবার প্রতিষ্ঠিত হাজী শামসুল হক সালেহা খাতুন রেডক্রিসেন্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এইড বাংলাদেশ কমিউনিটি ফোরামের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, লেবার পার্টির ফান্ড রাইজিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী লিটন। মূলত জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাতের সময় জেরিনের পিতার কাছ থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিকেলে জেলা প্রশাসকের আগমনের সাথে সাথে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। সাথে ছিলেন দাতা পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বায়িত্বশীল ষ্টাফ ও সেবাগ্রহীতা মায়েরা। জেলা প্রশাসক উপস্থিত উপকারভোগী প্রায় ৩০ জন মায়েদের সাথে আলাপ করে প্রসূতি মায়েদের বিনামূল্যে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষ ঘুরে ঘুরে এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। তিনি পরিদর্শন খাতায় মতামত ব্যক্ত করে স্বাক্ষর প্রদান করেন। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কাওছার ইকবাল।
জানা যায়, ২৪ ঘন্টা সেবা দানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গর্ববতী মহিলার নিরাপদে স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়। এছাড়াও এলাকার গরীব ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি অসহায় মানুষের বিভিন্ন ধরনের সেবায় ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও তার পরিবারবর্গ। এসব কার্যক্রমের ভিতর রয়েছে সেলাই মেশিন বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, টিউবয়েল ও শীতবস্ত্র বিতরণ। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে আর্থিক ও খাদ্যদ্রব্য সহায়তা নিয়ে গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়ানো এবং মুমূর্ষু রোগীদের তাৎক্ষণিক অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অন্যন্য চিকিৎসা সেবায় ছিল তাদের অসাধারণ ভূমিকা।
গত সোমবার ১৮ ডিসেম্বর সকালে বৃটিশ কাউন্সিলর শাহানিয়া চৌধুরী জেরিন পারিবারিক দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। জেরিনের আগমন উপলক্ষে এলাকাবাসী বিশেষ করে উপকারভোগী মায়েদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। জেরিন উপস্থিত এলাকাবাসী সবাইকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এসময় এলাকাবাসীর মনে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই জেরিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।