এম এম সামছুল ইসলাম।। অকাল বন্যা! কৃষকের সর্বনাশ! তাদের কান্না আর হাহাকারে ভারি হয়ে উঠেছে আকাশ! অফুরান এই ক্ষয়-ক্ষতির সামনে দাড়িয়ে হাকালুকি পাড়ের কৃষককুল! এ ক্ষতি পোষাবার নয়।
অতিসম্প্রতি দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে জুড়ী, কুলাউড়া ও বড়লেখার হাজার হাজার কৃষকের ধান পচে ব্যাপক এ ক্ষতি হয়ে যায়।একদিকে কৃষকদের ধানের ক্ষতি পাশাপাশি পানির মাছ, জলজ প্রাণীসহ শত শত হাঁস মারা যায়। সবমিলিয়ে কৃষকদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ফলে, কৃষকের পেটে এখন আগুন ! ব্যাপক এই ক্ষতিতে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাদের চিন্তা তারা কি খাইয়া বাঁচবে এবং তাদের গৃহপালিত গরু-বাছুরসহ অন্যান্য প্রাণীকে কি খাওয়াবে।
এমতাবস্থায় অত্রাঞ্চলকে দূর্গত এলাকা ঘোষনা এবং কৃষকদের পূনর্বাসনের দাবীতে এক বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করে হাওর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতি জুড়ী শাখা এবং বাংলাদেশ ক্ষেত মজুর পরিষদ কুলাউড়া শাখা।
গত ৩০ এপ্রিল, রোববার সকালে জুড়ী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে অত্রাঞ্চলের শত শত কৃষক তাদের দাবী আদায়ে জড়ো হয়। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জুড়ী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধূরী মনি, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, জুড়ী হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি সভাপতি ইমরুল ইসলাম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন সংস্থা (সিবিউস) প্রেসিডেন্ট প্রভাষক এইচ এম এ কাদির, জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এম এম সামছুল ইসলাম, অন লাইন প্রেস ইউনিটি সভাপতি এ বি এম নূরুল হক, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সেক্রেটারী মোস্তাকিম আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ, সাংবাদিক কল্যাণ প্রসূন চম্পু, সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কিছুদিন পূর্বে মহামান্য প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ হাওরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে আসেন এবং আজ রোববার (৩০/৪) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জ হাওর পরিদর্শনে আসেন। প্রেসিডেন্ট আসার পর ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে জন প্রতি ৩০কেজি চাল ও নগদ ৫শত টাকা দেয়ার ঘোষনা দেন কিন্তু হাকালুকি হাওরাঞ্চলে এত বড় ক্ষতি হওয়ার পর মন্ত্রী কেন কোনএমপি’ই আসেননি এই এলাকা দেখতে। কেউ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের খোঁজ খবর নেননি। এ কারণে অত্রাঞ্চলের কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বক্তারা আরো বলেন, হাকালুকি হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সরেজমিনে আসার আহবান জানিয়ে এ এলাকাকে “দূর্গত এলাকা” ঘোষনা ও কৃষকদের পূনর্বাসনের জোর দাবী জানান।