লণ্ডন।। বলা যায় তাকে হাসির রাজা। মানুষকে হাসাতে খুব সিদ্ধহস্ত। অভিনয়ে ভাল দখল ছিল। কিন্তু তাদের যৌবনের সে সময়টাও ছিল আগ্নেয়গিরীর লাভা উদ্গীরণের মত। চারিদিকে শুধুই মিথ্যার বেসাতি। সবকিছুতেই চলছিল ভূঁয়ার নৈরাজ্য আর নেশার ছড়াছড়ি। প্রতিবাদী মানুষের মিছিলে মিছিলে সারা দেশের মত ছোট্ট এ শহরও থাকতো উচ্ছল আর সরগরম।
সবেমাত্র স্বাধীন দেশে ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে বড় বড় চাকরী পেয়ে গেল অনেকেই অথচ আসল মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিল করতে হয়েছে রাস্তায়। বলছিলাম সিদ্দীকুর রহমান ফটিকের কথা।
বলতেই হয়, সিদ্দীকুর রহমান ফটিক সময়ের এক সাহসী মানুষ। যদিও বাল্যের সময়টি তার সুখকর ছিল না। পিতার অভাব ও ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হলে একটি মানুষের মনোজগতে যে উতাল-পাতাল হয় যা তার গড়ে উঠাকে বাধাগ্রস্ত করে। পারিপার্শিক সামাজিক অবস্থাও এ ক্ষেত্রে একটি নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এমনিতেই নৈরাজ্যকর সামাজিক অবস্থায় অভিভাবকহীনতা মানুষকে সুনিপুণভাবে স্বাভাবিক হয়ে গড়ে উঠতে দেয়না। যা ঘটেছিল সিদ্দীকুর রহমান ফটিকদের মত অনেকেরই জীবনে। ফটিক অনেকটা তার বাল্যেই পিতৃহারা হয়ে পড়েন। এর মাঝে একটি মফঃস্বলের শহর মৌলভীবাজারে। ফলে বেশী আগাতে পারেননি মফঃস্বলের গ্রামীন আটপৌরে শহুরে জীবনের সীমাবদ্ধতার ঘূর্ণাবর্তে নিষ্পিষ্ট হয়ে।
মফঃস্বলের শহুরে জীবনকে এগিয়ে নেয়া যায়না কাঙ্খিত লক্ষ্যে। এখানে জীবনের স্পন্দন স্থবির, বিকাশের ক্ষেত্র খুবই সীমিত। ফলে প্রাপ্তি বলতে গেলে শূণ্যের কোটায়! এখানে জীবন একই চক্রে প্রতিনিয়ত ঘুরেই চলে। শহুরে জীবন আগে দেখতো শহরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা এসডিও কে। সময়ের বিবর্তনে এখন দেখে ডিসিকে। এতটুকুই!
ফটিকের বাবা ছিলেন পুলিশের পদস্ত কর্মকর্তা। সেই ষাটের দশকে অবসর জীবনে গিয়ে মৌলভীবাজারে এসে ছোট্ট একখানা রুচিসম্মত বাড়ী নির্মাণ করেন। এখনও মনে পড়ে বাড়ীর সে ফটকে শ্বেতপাথরে খোদাই করা ছিল “নাদির মঞ্জিল”। শিক্ষিত সজ্জন তাই জীবন সঞ্চয় দিয়ে বিশাল ইমারত না গড়ে কিংবা ভূষিমালের দোকান না দিয়ে ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ছাপাখানা। নাম ছিল “মোহাম্মদী প্রেস”। বাবার মৃত্যুর পর সেই নাদির মঞ্জিলেই ফটিকের বড় হওয়া। চার ভাই দুই বোনের মাঝে এক বোন ছাড়া সকলেই তখনও লেখা-পড়ায়। একা মায়ের পক্ষে সবকিছু সামাল দিয়ে উঠা সম্ভব ছিল না। সম্ভবতঃ এ কারণেই ছেলেবেলা খুবই দূরন্তপনায় কেটেছে। মায়ের অপার স্নেহ তাকে আরো প্রগল্ভ বানিয়ে তুলেছিল।
সবকিছু চাপিয়ে যায় তার নাট্য বাগ্মীতা। শিল্পী গুণের অধিকারী সিদ্দীকুর রহমানের মাঝে একটি সুপ্ত শিল্পী সত্ত্বা কাজ করে অহর্নিশী। ভাল অভিনয়পটু সে সত্ত্বার দৌড়ঝাপ দেখা যেতো শহর বা কলেজের বার্ষিক নাটকে। ঢাকার মত রাজধানী শহরে বড় হলে সিদ্দীকুর রহমান ফটিক আজ হয়ে উঠতে পারতেন সকলের নমস্যঃ এক শিল্পী কলাকার বা দেশ পরিচালনায় দক্ষ কোন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু শিল্পীমন ভিন্ন পথে শিল্পীসত্ত্বার ক্ষয় ঘটিয়ে গেছে। সময়ের সে সুযোগ নেয়নি অবহেলায়।
কৈশোর যৌবনের সেই চঞ্চল সময়ে- মানুষ ও সমাজ নিয়ে ফটিকের মনে বিশাল এক ক্ষোভ ছিল। সে ক্ষোভকে আমরা দেখেছি রাস্তার ছাত্র মিছিলে। প্রায় দুই দশকের মত সময় ফটিককে রাস্তার মিছিলে দেখেছি। যে কোন সামাজিক, রাজনৈতিক অবিচার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সেসময় ফটিক ছিলেন খড়গহস্ত।
সমাজের নিদারুণ অবক্ষয়ের সময়ও টিকে থাকার জন্য ফটিক ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু শিল্পীমন কি কখনও ইস্পাত-লোহার ধান্ধায় আশ্বস্ত থাকতে পারে! তবুও চেষ্টা করেছেন অনেকভাবে। তার পরও সমাজ ও মানুষের দূরন্ত হীনতা, অন্যকে দমিয়ে রাখার কূটকৌশল সেখানেও তাকে আগাতে দেয়নি। এর পর আমাদের সমাজে যা হয়, আত্মসমর্পণ ও ধীরে ধীরে মানবসমুদ্রে লীন হয়ে যাওয়া কিংবা বিদেশ গমন। তবে বৈজ্ঞানিক সত্য হলো- যে যেখানেই থাকে না কেনো মনের ‘মানা না মানা’কে এ পৃথিবীতে কেউই পরাজিত করতে পারেনি। আর ভবিষ্যতে কেউ পারবে বলেও মনে হয় না। সিদ্দীকুর রহমানের মাঝে সে সত্যকেই আমি বিম্বিত হতে দেখি।
প্রতিভাবান সিদ্দীকুর রহমান তাই একজন প্রবাসী হয়েও মানবদরদী শিল্পীমনকে পরাভুত করতে পারেননি। বিনোদবিহারী তার সে মন এখনও খুঁজে ফেরে কৈশোর-যৌবনের সেই বিদ্রুহী মিছিলকে, খুঁজে ফেরে ফেলে আসা দিনের হাসি-তামাশাকে। প্রবাসের কঠোর পাথুরে জীবনের ফাঁকে সময় করে দেখেন ফেইচবুকের হাসি-তামাশা, সমাজকে নিয়ে তিরস্কার-পুরস্কারের চলমান অভিনয়। সমাজকে নিয়ে রাজনীতির কূটকৌশলী আচরণ।
ফটিক তাই খুব রস দিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করে লিখেছেন-
এক গুনধর মন্ত্রী ছেলেকে ইংরেজী পড়াচ্ছিলেন। ইংরেজী শব্দটি ছিলো ‘assassination’.
মন্ত্রী বানান মুখস্থ করাচ্ছিলেন এইভাবে-
একটা গাধা (ass), তার পেছনে আরেকটা গাধা (ass), সেই দুটো গাধার পিছে আমি ( I), আমাদের পিছে পুরা দেশ (nation)।
শুধু তাই নয় আরো একটি রসাত্মক ক্ষুধে কাহিনী পেয়েছি তার কাছ থেকে। ফানপোষ্ট বলে একটি সর্বজনীন গোষ্ঠী We SYLHETis-নামের ফেইচবুকে লিখেছেন-একজন নাসিম আহমদ চৌধুরী। আর আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন আমাদের আবাল্যপরিচিত সুহৃদ এক সময়ের অভিনয় শিল্পী সুপ্রিয় সেই সিদ্দিকুর রহমান ফটিক। যাকে নিয়ে উপরের ক্ষুধে কাসুন্দি!
নাসিমের সেই রসাত্মক কথাগুলিতে অবগুণ্ঠনে থাকা সমাজ চেহারার পরিচয় পাওয়া যায়। গভীরে গেলে জ্ঞানের অনু-পরমাণু কিলবিল করে। রস রয়েছে অফুরান, রয়েছে বাস্তবকঠিণ জীবনচর্চ্চা লব্দ জ্ঞানের হাসিমাখা উপহাস। খোরাক রয়েছে মার্গীয় হাসিরও। কোন চটুলতা নয় আবার সাহিত্যের দাঁতভাঙ্গা কোন পংতিও নয়। খুবই সহজ সরল সাধারণ মানুষের ভাষায় নাসিম লিখেছেন-
ফান পোষ্ট
শিক্ষক:-নারী সম্পর্কে যা জানো বলো?
ছাত্র:-বড়োই অদ্ভুত এই নারীকুল…
মা হলে শাসন, প্রেমিকা হলে শোষণ
আর বৌ হলে ভাষণ….
শিক্ষক:-এতদিন কোথায় ছিলিস? বুকে আয়. বাবা।
একদম ঠিক উত্তর দিয়েছিস…
Sir : হাসপাতাল কি বা কারে কয়….!?
Student : পৃথিবী থেকে স্বর্গ যাওয়ার পথে রাস্তায় যে টোল – প্লাজাটা পড়ে, সেটাকেই হাসপাতাল বলে।
Sir : তোদের আর পড়াশোনার দরকার নেই ।।
সবাই পাস
*অভূতপূর্ব গণিত:*
শিক্ষক : বিবাহের সময় কেন সাত পাকে বাঁধা হয়? সাত বার ঘোরানোর তাৎপর্য কি?
ছাত্র : কারন প্রত্যেকটা পাকই 360° ঘোরানো হয়। 360 এমন একটি সংখ্যা যেটা কিনা 1 থেকে 9 এর মধ্যে কেবলমাত্র 7 দিয়ে ভাগ করা যায় না। অর্থাৎ, 7 বার ঘুরলে বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা অবিভাজ্য হয়।
শিক্ষক : বাবা তুই আমার চেয়ারে এসে বস।