মুক্তকথা: লন্ডন।। পৈত্রিক ভিটে দেখা ও অন্নপ্রাশনে অংশ নেয়া। মঙ্গলবার ভাইপোর ছেলের অন্নপ্রাশন। তাই ভাইপো জাকারিয়া হোসেনের ছেলের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে দিনহাটায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেন মহম্মদ এরশাদ। তার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আছেন তাঁর ছোট ছেলে এরিক, বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার সহ ৮ জন। ওখানে তার আগমনে দিনহাটার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ওখানকার একটি নাগরিক সংগঠন ‘সৃজন’র পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সংবর্ধনায় তাঁর হাতে একখানা চিঠি দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা হলদিবাড়ি–চিলাহাটি, চ্যাংরাবান্ধা–লালমনিরহাট ও গীতালদহ–মোগলহাটের মধ্যে পুনরায় ট্রেন চালুর জন্য উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ করা হয়।
প্রবীন এই রাজনীতিক ওখানে বলেছেন, হাসিনা সরকার থাকতে থাকতেই তিস্তার জল–সমস্যা মেটাবেন বলে কথা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমরা আশাবাদী তিস্তার জল–সমস্যা মিটে যাবে। তোর্সাকে আমরা বিবেচনার মধ্যে রাখছি না। সোমবার কোচবিহারের দিনহাটায় পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৈতৃকভিটেয় গিয়ে পুরানো পরিচিতদের সামনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাধিকারিক বহু বিতর্কিত এই বর্ষিয়ান নেতা। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বলেছিলেন, পবন, পাখি আর নদীর জলের কোনও সীমানা থাকে না। কিন্তু এখন দেখছি নদীর জলের সীমানা রয়েছে। তবে তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের পর মোদিজি ভাল অবস্থায় রয়েছেন। আশা করছি, তিস্তার জল–সমস্যা মিটে যাবে।
দিনহাটার পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছে তিনি আত্মিক খুশীতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বলে ওখানকার সংবাদপত্র উল্লেখ করেছে। তার কথা ওরা লিখেছে- তিনি বলেন, জন্মভিটেয় ফিরে আনন্দ হচ্ছে। বাবা–মায়ের কথা মনে পড়ছে। আরও বলেন, এখান থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেছি। তাঁর স্কুল দিনহাটা হাই স্কুলকে উপহার দেওয়ার জন্য তিনি একটি কবিতা লিখে নিয়ে এসেছেন বলে জানান। তিনি স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, দিনহাটা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলে চেপে কোচবিহার যেতাম।
ভাইপোর বাড়িতে পৌঁছে তিনি ডাল, ছোট মাছ, মুরগির মাংস, দই, মিষ্টি দিয়ে দুপুরের খাবার খান। মেনুতে খাসির মাংস থাকলেও তিনি খাননি। খুবই স্বল্পাহারী তিনি। ২৭ এপ্রিল তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে পত্রিকান্তরে জানা গেছে।