লণ্ডন।। গত কাল ৩রা মে শেষ হয়ে গেলো বৃটেনের কাউন্সিল নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরিভাবে এখনও আসেনি। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে দেখা গেছে শ্রমিকদল ১৯৮২টি কাউন্সিলর আসন পেয়েছে। রক্ষনশীল দল পেয়েছে ১২৭৪টি কাউন্সিলার আসন, লিবারেল ডেমোক্রেট দল পেয়েছে ৪৭২টি আসন। কোন দলেরই নয় এমন কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন ১৪২জন। গ্রীন পার্টি পেয়েছে ৩৪টি আসন এবং ইউকেআইপি(UKIP) পেয়েছে ৩টি কাউন্সিলার পদ। এ হিসেব ১৫০টি কাউন্সিলের মধ্যে ১৩৭টির।
টরি ও শ্রমিকদল নেতা তেরেশা মি ও জেরেমি করবিনের উল্লেখ করে বিবিসি লিখেছে, করবিন ও মে নিজেদের দলের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু এ নির্বচনে তাদের ফাঁকের দিকটা নিয়ে তারা কেউই কিছু বলেননি। বিবিসি’র ভাষায় উভয় দলই নিষ্পত্তিমূলক চূড়ান্ত ফায়দা পাওয়ার ফলাফল দেখাতে পারেননি। একথা দিয়ে বিবিসি আসলে কি বুঝাতে চেয়েছে একমাত্র তাদের রাজনৈতিক ভাষ্যকারই বলতে পারেন।
বার্নেট, বাসিলডন ও পিটার বরায় বিজয়ী হওয়ায়, তেরেশা মে তার দলের কাউন্সিলারদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই ভাবে প্লেমাউথ-এ বিজয়ী হওয়ায় জেরেমি করবিনও তার দলের নির্বাচিত কাউন্সিলারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সবচেয়ে বড়কথা, এ নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক সকল দলেরই বুঝার অনেক কিছু আছে। যদিও এটি ছিল কাউন্সিলের ভোট। অন্য কথায় জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে এ ভোটের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। তা’হলেও এ ভোট জানান দিয়েছে যে সাধারণ মানুষ কোনদিকেই ঝুঁকে যায়নি। যেমন সরকার দলের একটু ডান-বা হয়েছে তেমনি বিরুধী পক্ষেরও যোগ-বিয়োগ হয়েছে। কোন দলই মানুষের বিশেষ কোন আস্তা অর্জন করেছেন এমন দেখাতে পারেননি। উল্লেখ্য, স্কটল্যণ্ড, ওয়েলস কিংবা আয়ারল্যাণ্ড কোথায়ও নির্বাচন ছিল না।
১ ভোটে বিজয়ী
‘হেরো’ নামের কাউন্সিলে মাত্র ১টি ভোটের ব্যবধানে একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি টরিদল বা রক্ষণশীল দলের একজন কাউন্সিলার। মাইকেল হার্ডওয়ার নামের ওই প্রার্থী রক্ষণশীলদের একমাত্র প্রার্থী। নিয়মানুসারে এক্ষেত্রে ৩বার গণনা করতে হয়।
এবারের নির্বাচনে কেমডেনের ৫৪টি কাউন্সিলার আসনের মধ্যে শ্রমিকদল পেয়েছে ৪৩টি, রক্ষণশীলরা পেয়েছে ৭টি, লিবারেল ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৩টি এবং গ্রীন পার্টি পেয়েছে ১টি আসন।
এ কাউন্সিলের ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে ৮টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন দলের প্রার্থী হয়ে মোট ১১জন বাঙ্গালী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সফলভাবে ৬জন কাউন্সিলার হিসেবে উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন। তারা হলেন সর্ব কাউন্সিলার আব্দুল হাই, সমতা খাতুন, নাদিয়া শাহ, নাসিম আলী, আব্দুল কাদির ও নাজমা রহমান। নাজমা রহমান সবচেয়ে বেশী মোট ১৩৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের ৫জন এর আগেও নির্বাচতি কাউন্সিলার ছিলেন।