মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি মহল ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প বানিজ্যমেলা নামে কোন ভূইপো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে অনুমতি না দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোন মেলার অনুমতি না দিতে শ্রীমঙ্গলের বস্ত্র, প্রসাধনী ও জুয়েলারী ব্যবসায়ীরা স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপি দিয়েছেন তারা। করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়।
সোমবার রাত ৮টায় শ্রীমঙ্গলের একটি রেস্টুরেন্টে শ্রীমঙ্গল বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে শ্রীমঙ্গল বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক ফজলুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসায় ধস নেমেছে। টানা লকডাউনের প্রভাব এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এরপরও নিয়মিত তারা সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর দিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প নামে মৌসুমী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চাটুকারী নামে মেলা আয়োজনের চেষ্ঠা করতেছে বলে জানান। যদি মেলা আয়োজন হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এমনকি স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব সহ ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে।
এর আগে একটি মহল শ্রীমঙ্গলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নামের মেলা আয়োজন করে নকল পুণ্য, ক্রটিপুর্ণ মালামাল, চায়নীজ মালের রমরমা বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরো জানান, স্থানীয় উদ্যোক্তা স্থানীয় পণ্য নিয়ে মেলা করলে তাদের কোন আপত্তি থাকবেনা এবং তাদের সাথে মিলে মেলা করলে বরং তারা সর্বাত্তক সহযোগীতা করবেন বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ এস এম ইয়াহিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন, বস্ত্র সমিতির উপদেষ্ঠা শাহজাহান ইউ আহমেদ, মা: হাফিজ আহমেদ, সদস্য সচিব মো: রুমেল খান, যুগ্ন সদস্য সচিব মো: ছাইফুর রহমান ও অর্থ সম্পাদক মো: শরীফ উদ্দিন প্রমুখসহ শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ব্যবসায়ীরা এ ধরণের মেলার অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংসদ সদস্য মৌলভীবাজার-৪ আসন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার- মৌলভীবাজার, পৌরসভা মেয়র, উপজেলা প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপি প্রদান করেন এবং এ ব্যবসা সংস্লিষ্ট দুইশত ব্যবসায়ী কোন মেলার অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানিয়ে স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন।