গুলশান হত্যাকান্ড
২৬ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস ব্যবসা সংকটে" />
মুক্তকথা: ১২.৩৬: বৃহস্পতিবার ৭ই জুলাই ২০১৬::
গত মঙ্গলবার ৫ই জুলাই সংবাদ সংস্থা রয়টারের খবর, বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির গার্মেন্টস সম্পর্কিত ব্যবসায়ীরা, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে তাদের নির্ধারিত সফর বাতিল করেছে। বাংলাদেশে কর্মরত সেসব কোম্পানির বিদেশিকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
রয়টারের বরাতে ইত্তেফাক লিখেছে, হোটেলগুলোতেও না-কি অনেক আগাম সংরক্ষিত ভাড়া বাতিল করা হচ্ছে। আর দূতাবাসগুলো না-কি তাদের কর্মী সংখ্যা কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে।
রয়টারের বরাতি ওই প্রতিবেদনে ইত্তেফাক অারও লিখেছে, বাংলাদেশের ২৬ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস শিল্প এই হামলার কারণে খুবই সংকটে পড়েছে। তারা আশঙ্কা করছে একারণে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী পিছপা হতে পারেন।
বাংলাদেশের রফতানি খাতের ৮০ শতাংশই আসে গার্মেন্ট থেকে। এর মাধ্যমে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। চীনের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রফতানি করে।
ইউনিকল কোম্পানির ১০জন জাপানি বাংলাদেশে কাজ করেন। স্প্যারো গ্রুপের প্রধান শোভন ইসলাম বলেন, এই অবস্থাতে তারা খুবই চিন্তিত। তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশে একজন বিদেশি হত্যা করার ঘটনার পরে অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসতে চাননি এবং ব্যাংককে বৈঠক করেন।
ভারতের গুরগাও ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অরিয়েন্ট ক্র্যাফটের প্রধান সুধীর ধিংরা বলেন, ‘এই ঘটনা নিঃসন্দেহে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভাব ফেলবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজের দূতাবাস বাংলাদেশে তাদের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার গুলশানের ওই রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় নয় ইতালিয়ান, সাত জাপনি, একজন মার্কিনী, একজন ভারতীয়্সহ ২০ জন নিহত হয়। মূলত সেই হামলার পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সবাই। এবং একারণেই পূর্ব নির্ধারিত সূচি বাতিল করছেন।
ঢাকার অন্তত দুটি ফাইভ স্টার হোটেলে বিদেশ থেকে বেশ কিছু রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে।
হোটেলের এক মুখপাত্র জানান, ‘আগে যেখানে দুই-তিন দিনের জন্য মানুষ হোটেল বুকিং দিতো। কিন্তু এখন কেউই বুকিং করছে না। ঈদের সময় এটা খুবই অস্বাভাবিক।’ দ্য গার্ডিয়ান