কোভিড-১৯এর মারণাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ ভারতকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোণা মহামারিতে মারা গেছে ৪,২০৫জন। ফলে এখন পর্যন্ত সারা দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২,৫০,০০০জনে গিয়ে। এখন থেকে আটঘন্টা আগে এমএসএন নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
তাদের খবর থেকে জানা যায়, এমন পরিমাণে মানুষ মারা যাচ্ছে যে ঘর-বাড়ীতে লাশ ধুয়ানোর পরিবর্তে অগুনতি মানুষের লাশ গঙ্গানদীর তীরেই ধোয়ে নেয়া হচ্ছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেখা দিয়ে নতুন সমস্যা। আর তা’হলো দাহ করার জন্য জ্বালানী কাঠের অভাব। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশের জন্য এটি মানব ভোগান্তির এক কঠোর ও ভয়ানক বিপদ সংকেত।
বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩০কোটী। সংবাদ সংস্থা রয়টারের হিসেবে দেখা গেছে বর্তমানে সারাবিশ্বে যেসব মানুষ মারা যাচ্ছে তাদের প্রতি ৪জনের ৩জনই মারা যাচ্ছে করোণা আক্রান্ত হয়ে। ভারতেও সেই একই অবস্থা। হাসপাতালগুলোতে আর কোন স্থানই নাই, চিকিৎসাকর্মীর অভাবনীয় অভাবের সাথে যোগ হয়েছে লাশঘরের স্থানের অভাব, একই সাথে জ্বালানীকাঠের অভাব। অভাব ঔষধ আর অক্সিজেনের। সবকিছু মিলিয়ে ভারত এখন এক সার্বিক বিপর্যয়ের সন্মুখীন।
ভয়ানক এই মরণব্যাধির সংক্রমণ হয়েছে বড় বড় শহর থেকে ছোট ছোট শহরে ও গ্রামে। কিন্তু করোণার এই দ্বিতীয় ঢেউকে মোকাবেলা করার মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভারতের নেই।
সরকার কর্তৃক নিয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফোরামের ৪জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে তারা গত মার্চ মাসেই করোণার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মোদী নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার তাতে কান দেয়নি। বিধিনিষেধের উপর কোন জোর দেয়া হয়নি। উপরন্তু ওই সময়ই লাখ লাখ সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিভিন্ন সভায় মিছিল করে শরিক হয়েছে; বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিয়েছে। মোদী সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কৃষক দিল্লীতে মিছিল করে এসেছে।
|