মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার(৭ জুন) দুপুরে উপজেলার নিউমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে শ্রমিকসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, শ্রমিক আহত ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করেন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল গ্রুপের নেতা হুমায়ন রশীদের নেতৃত্বে ১৫/২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে একটি মিছিল উপজেলার চৌমুহনী থেকে নিউমার্কেট এলাকায় আসে। একইসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের নেতা জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল জুড়ী কলেজ থেকে নিউমার্কেট এলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকসহ উভয়পক্ষের ১৫/২০ জন আহত হয়।
পরে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় সিএনজি শ্রমিক আহত ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শ্রমিকরা তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করে।
জয়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল জুড়ী কলেজ থেকে শুরু করে নিউমার্কেট এলাকায় এলে ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন রশীদের নেতৃত্বে ১০/১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ হামলায় ১০/১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ ছাত্র আহত হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ন রশীদ বলেন, আমরা প্রায় দিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে জুড়ী শহরে শান্তি মিছিল করে থাকি। আজও মিছিল করছিলাম। আমাদের শান্তি মিছিলটি নিউমার্কেট এলাকায় এলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জল ও জয়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ৭/৮ জন কর্মী আহত হয়েছে। তাদের সাথে হামলায় যুবদল নেতা সুলেমানসহ ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ছিলেন। যা জুড়ী শহরের মানুষ প্রত্যক্ষদর্শী বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে থানার পরিদর্শক(তদন্ত) হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।