মৌলভীবাজারে আলোচিত ৩ কলেজছাত্রী লাঞ্চিতের ঘটনায় ৪ বখাটে গ্রেফতার
বিশেষ সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার।। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ও মহিলা কলেজের তিন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ৪জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দূপুরে মৌলভীবাজার সদর থানায় এক সংবাদ সংক্ষেপে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ইকোপার্ক এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সংবাদ সংক্ষেপে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সহযোগিতা করেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, এদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক রফি উদ্দিন বলেন, লাঞ্চিত ২ ছাত্রী আমাদের ও আরেকজন মহিলা কলেজের। তিনি আরো বলেন, গেল মঙ্গলবার এ ঘটনার পর ওই মেয়েরা শহরের চৌমূহনায় আসে। তাৎক্ষনিক আমি সংসদ সদস্য নেছার আহমদকে বিষয়টি অবহিত করি।
জানা যায়, ওই মেয়েরাসহ মোট ১১জন কলেজছাত্রী শহরতলির সোনাপুর এলাকার কামাল উদ্দিন সড়কের একটি বাড়িতে মেসে থাকতো। বাসার মালিকের ভাতিজা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাবেদসহ তার কয়েক বন্ধু মিলে মেসের ছাত্রীদের প্রতি অশ্নীল আচরণ করত। মেয়েরা অনেক সময় বাসা হারানোর ভয়ে এর প্রতিবাদ করতো না।
গেল মঙ্গলবার বিকেলে এক ছাত্রীকে বাসার সামনে পেয়ে নাবেদ অশ্নীল কথা বলে। লাঞ্চিত এ ছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে নাবেদ তার চুলের মুঠি ধরে ঠানা-হেচড়া করে। এ সময় মেয়েটির দুই সহপাঠী এগিয়ে এলে নাবেদ ও তার বন্ধুরা মিলে তাদেরও লাথি ও কিলঘুষি মারে।
এ বিষয়টি জানার পর স্থানীয় এক কাউন্সিলারসহ বাসার মালিকের উপস্থিতিতে ওইদিন ইফতারের পর সালিশে বসেন। সালিশে নাবেদসহ তার বন্ধুরা অশালীন আচরণ করায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
এরপর নির্যাতিত ছাত্রীর এক মামা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্যেখ করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলো-নাবেদ, ছায়েম, মুন্না ও খালেক। এ মামলার পর বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চারজনকে গ্রেফতার করে।
|