1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ॥ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ॥ অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
  • ৫০২ পড়া হয়েছে

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তি (৫০) নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রোববার অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
দেওড়াছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুবোধ কুর্মী জানান, দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে অজ্ঞাত পরিচয়ের ঐ ব্যক্তিকে আটক করে তার নাম পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় জিজ্ঞেস করার পর অসংলগ্ন কথাবার্তায় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে চা বাগান শ্রমিকরা চা বাগান অফিসে নিয়ে আসেন। এতে কয়েক শত শ্রমিক বিক্ষুদ্ধ হয়ে অফিস চত্বরে ঢুকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। পরে দেওড়াছড়া চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মোস্তফা জামানের নির্দেশনায় এ চা বাগানের মেডিক্যাল সুপারভাইজার গোপাল দেব তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত লোকটি এ এলাকার ছিল না। চা শ্রমিকরা সন্দেহজনক ঘোরাফেরায় তাকে আটক করে নাম পরিচয় জানতে চাইলে সে সঠিক জবাব দিতে পারেনি। পরে ছেলে ধরা সন্দেহে গণ পিটুনিতে সে আহত হলে গুরুতর আহতাবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে সে মারা যায়। থানার ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় অঞ্জাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে লাশটির ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে। এখন লাশের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করছি। পরিচয় না পাওয়া গেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে লাশটির সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনাটির রহস্য জানার জন্য পুলিশ জোরালোভাবে তদন্ত করে দেখছে।

কমলগঞ্জে প্রবীণ রাজনীতিবিদ এড. মনির উদ্দিন আহমদের শোকসভা

শ্রমিক আন্দোলনে মনির উদ্দিন আহমদের নাম অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে

সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক এডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদের স্মরণে এক শোকসভা রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের নেতা স্যামুয়েল বেগম্যান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা। সভার শুরুতে প্রয়াত রাজনীতিবিদ এড. মনির উদ্দিন আহমদ (৯৬) এর মৃত্যুতে তাঁর অসমাপ্ত কাজকে অগ্রসর করার প্রত্যয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চা-শ্রমিক সংঘের যুগ্ম-আহবায়ক হরি নারায়ন হাজরা, সুনছড়া চা-বাগানের পুষ্প কালিন্দী, রবীন্দ্র রবিদাস, মহিলা চা শ্রমিক ভানুমতি কর্মকার, চাতলাপুর চা বাগানের নারায়ন নাইডু, রাজনগর চা-বাগানের শ্রমিকনেতা নারায়ন গোড়াইত, মধু রজক, হেমরাজ লোহার, লংলা চা বাগানের সন্যাসী নাইডু, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি দেলোয়ারা বেগম, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মিয়া, জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল মিয়া, শ্রমিকনেতা মোঃ শাহজাহান আলী ও গিয়াস উদ্দিন প্রমূখ।
বক্তারা চা-শ্রমিক আন্দোলনে প্রয়াত মনির উদ্দিন আহমদ, মফিজ আলীসহ তৎকালীন চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, এসব নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত চেষ্টায় ১৯৬৪ সালে ৩ মে শমসেরনগরে পূর্ব-পাকিস্তান চা-শ্রমিক সংঘের উদ্যোগে প্রথম মহান মে দিবস পালন করে। সেই সময় মে দিবসে চা-শ্রমিকদের ছুটি ছিল না। পূর্ব-পাকিস্তান চা-শ্রমিক সংঘের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চা শ্রমিকরা আজ মে দিবসে ছুটি ভোগ করছেন। প্রতি রবিবার মনির উদ্দিন আহমদ সিলেট থেকে এসে বাগানে গিয়ে চা-শ্রমিকদের নিয়ে সভা করতেন। ১৯৬৭ সালে শমসেরনগর চা-বাগানে পুলিশের গুলিতে নীরা বাউরি শহীদ হলে সেই সময় প্রয়াত মনির উদ্দিন আহমদ, মফিজ আলীসহ নেতৃবন্দ তীব্র চা-শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মনির উদ্দিন আহমদ আইন পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লেবার ইউনিয়ন, সিলেট ইলেকট্রিক সাপ্লাই শ্রমিক ইউনিয়ন, আজিজ গ্লাস ফ্যাক্টরি শ্রমিক ইউনিয়ন প্রভৃতি সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। অবহেলিত চা শ্রমিকদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে শ্রমিক নেতা মফিজ আলীর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখেন এবং পূর্ব-পাকিস্তান চা শ্রমিক সংঘ এর কোষাধ্যক্ষ ও আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সৃষ্টির ৪৯ বছর পার হলেও কখনো রাষ্ট্রপতি শাসিত, কখনও সংসদীয় পদ্ধতি, কখনও সেনা সরকার, কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় শাসিত এদেশের জনগণ শোষণ, লুন্ঠন থেকে মুক্ত হয়নি। তাই প্রয়াত মনির উদ্দিন আহমদের আজীবন লালিত স্বপ্ন সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ মুক্ত শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT