এম,মিসবাহ উদ্দিন, বিয়ানীবাজার।। ঈদ মানেই খুশি। ঈদ মানে আনন্দ! এই আনন্দকে আরো বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তুলতে মুসলমানদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সবার মধ্যে থাকে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা। আর মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি এদিন বিশেষ গুরুত্ব পায় নতুন পোশাক। নতুন পোশাকই যেন ঈদের পূর্ণতা। তাই রোজার শুরুতেই অনেকে শুরু করেছেন ঈদের কেনাকাটা।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিভিন্ন শপিংমহল ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে বিক্রি তেমন ভালো ছিল না। তবে ঈদ যেমন এগিয়ে আসছে, জমে উঠছে ঈদের বাজার।
১৫ রোজা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পোশাকের দোকান ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে, ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলো। গত ১০ দিনের চেয়ে ১৫ রোজার দিনের বিক্রি ছিল অনেকে বেশি।
এবারের ঈদের বাজারে তরুণীদের জন্য রয়েছে- বাহুবলি , মেহেরজান, অবান্তিকা, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, সিনথেটিক ফ্রক। বিয়ানীবাজার পৌরশহরের মোকাম রোডে অবস্থিত আশরাফ ফ্যাশন, সত্তার মার্কেট সহ জামান প্লাজায় এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। কেনা-কাটার এ আনন্দ থেকে তরুনরাও পিছিয়ে নেই, ঘুরে ঘুরে তারাও কেনা কাটায় শরিক থেকে কিনছেন পছন্দের পন্য
ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আশরাফ ফ্যাশন, বিশাল ব্রান্ড, মতিন ক্লথ ষ্টোর, হাফিজ ক্লথ ষ্টোর, জারি ফ্যাশন, তরুন-তরুনিদের উপচে পড়া ভীড়। সারা দিনের ঈদ বাজার শেষে কল-কোলাহলে মুখরিত করে বিকেল ঘনিয়ে আসতে ক্রেতাদের বাড়ি ফেরার এ দৃশ্য সত্যি নান্দনিক। সবার হাতেই ব্যাগ। কারো হাতে দুটি-পাঁচটি, আবার কারো হতে আটটি-দশটি শপিং ব্যাগ। শপিং করে ক্লান্ত তারা। এখন বাসায় ফেরার অপেক্ষা। গাড়ি আসলেই বাসায় ফিরে ইফতারে শরিক হবেন মা-বাবা ও অন্যান্য প্রিয়জনদের সাথে। বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। ঈদের আগের দিনগুলোতে ব্যবসা আরো জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
ক্রেতাদের কয়েকজন জানান, মার্কেটজুড়ে দেশি-বিদেশি নানান আদলের পোশাক থাকায় পছন্দ করে কেনা যাচ্ছে। এরমধ্যে বিদেশি পোশাকের প্রাধান্য বেশি। তবে অনেকে আছেন যারা, ঈদের জন্য দেশি বুটিকস, সুতি কাপড়কে বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকে মানসম্মত পোশাক পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
মোকাম রোডের আশরাফ ফ্যাশন এর স্বত্তাধীকারী ইকবাল আহমদ এর সাথে আলাপ কালে এই প্রতিবেদককে জানান, এবারের ঈদ বাজারে দেশি কাপড়ের তুলনায় বিদেশি কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি বুটিকসের কাপড়ও কিনছেন অনেকে। কেউ আবার পছন্দের জিনিস তৈরি করে নেবেন বলে থান কাপড় কিনে নিয়েছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় আমরা তরুনীদের পাশাপাশি তরুনদের কাছে জেন্টসের শার্ট, প্যান্ট আর দেশী পাঞ্জাবী, পায়জামা খুব ভালো চলছে। আজ বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান, জামান প্লাজার মতিন ক্লথ, ঝারি ফ্যাশন, হাফিজ ক্লথ ষ্টোর, ইনার কলেজ রোডের ব্রান্ড কালেকশন, লুৎফুর ফ্রেবিক্স, রুপশি ফ্যাশন এর বিক্রেতাগন। তারা আরো জানান, গত কয়েক দিনে বিক্রি ভালো না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমরা। ঈদ ঘনিয়ে আসতে না আসতে ব্যবসা জমে উঠেছে, আমরা আশাবাদি আগামি দিনগুলোতে আরো জমবে ব্যবসা