পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত যা হবে
সংলাপের উপযোগী।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “বাংলাদেশে যা ঘটছে, যে গণগ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। সব সহিংস কর্মকাণ্ডের তদন্ত স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে হওয়া উচিত। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত, যা হবে সংলাপের উপযোগী।” এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।
বিবিসি বাংলা লিখেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর ক্র্যাকডাউনের বিস্তারিত তথ্য জরুরি ভিত্তিতে প্রকাশ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমসহ সব মানুষকে মুক্তভাবে যোগাযোগের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সরকারকে অবশ্যই অবিলম্বে পূর্ণ ইন্টারনেট সুবিধা পুনর্বহাল করতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতি ও মান নিশ্চিত করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশের একটি সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা আরো প্রকাশ করেছে যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন- “বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে চলা সংঘর্ষে নিহত, আহত ও আটকদের বিস্তারিত তথ্য জরুরিভাবে প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।”
একই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব অভিযান যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক রীতিনীতি ও মানদণ্ড মেনে হয়, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন ফলকার টুর্ক। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভলকার টুর্ক আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে গত এক সপ্তাহজুড়ে চলা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।… বহু মানুষ সরকারের নীতিবিরোধী শিক্ষার্থী ও তরুণদের এ আন্দোলনের সময় নিখোঁজ হয়েছেন। বহু মানুষ সরকার সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাদের রক্ষার জন্য কোনো ধরনের চেষ্টা করা হয়নি।…