গত শুক্রবার(২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ১৫ বছর একটা সরকার জনগণের অধিকার দেয় নাই। মেধাবীরা চাকরি পায় নাই, দলের নেতারা শুধু চাকরি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সিট পায় না, ওখানেও চাঁদাবাজি চলে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে মেধা, যোগ্যতা, সততা অনুযায়ী চাকরি পাবে। এখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। যেই দলের হোক, যেই গ্রামের হোক, যেই ধর্মের হোক, মেধা, যোগ্যতা অনুসারে চাকরি হবে।
অনুষ্ঠানে ৩৬টি পরিবারকে ৭১ বান ঢেউটিন, ঘরের খুটি সহ ২০ লক্ষ টাকার গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে জেলা জামায়াতের আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে সীরাতুন্নবী শীর্ষক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির আলোচনায় অংশ নেন। এসময় জামায়াতের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়জুল করীম ময়ুনসহ আরও অনেকে।
আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের একক কৃতিত্ব ও অবদান
কখনো দাবি করেনি, করবেও না
রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হলে মৌলভীবাজার শহর, জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রশিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সমাজে কোন অন্যায় চাইনা, কোন জুলুম চাই না। একক কোন কর্তৃত্ব নয় বরং যিনি দায়িত্বশীল হবেন, যিনি এই সমাজকে পরিচালনা করবেন, এই রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবেন, তাকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা এমন একটা সমাজ, এমন একটা রাষ্ট্র এই আন্দোলনে থেকে পেতে চাই।
তিনি আরো বলেন, মানুষ জানতো সেদিন মিছিলে যাওয়া মানে গুলিবিদ্ধ হওয়া। জেনেশুনেই জীবনকে তুচ্ছ করে দাড়িয়েছিলেন জালিমের বিরুদ্ধে। মানুষ চায় না নতুন করে আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্টা হোক। এ জন্য আমাদেরকে ৫ তারিখের ঐক্যবদ্ধ চেতনাকে ধারণ করে সামনের বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হবে। এজন্য যদি কোন বাঁধা আসে, বিপত্তি আসে, যদি কেউ বাড়াবাড়ি করতে আসে তা’হলে ৫তারিখের সেই আত্মাহুতির শপথে বলিয়ান থেকে আন্দোলনকে অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।