পর্যটন,পাড়ি ও চা বাগান বেষ্টিত জেলা মৌলভীবাজারে জেঁকে বসেছে শীত। সোমবার জেলার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ধরা পড়ে। গেল রোববার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪। বিষয়টি দুপুর আড়াইটায় নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের দায়ীত্বপ্রাপ্ত আনিছুর রহমান। এদিকে সোমবার ভোরে জেলার বিভিন্ন যায়গা জুড়ে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়াতে শীতের তীব্রতা আরো বেশি বেড়ে যায়। জেলার চা বাগান জনপদসহ কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী সাধারণ মানুষকে এবার যেনো পৌষের শীতে খুবই কাবু করেছে। জেলার ৯২টি চা বাগান শ্রমিক ও স্থানীয় অধিবাসীরা শীত উপেক্ষা করে কাজে নেমেছেন। রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ইন্দানগর চা বাগান ব্যবস্থাপক লোকমান চৌধুরী জানান, ভোরে বৃষ্টিপাত হওয়াতে বাগানে চা উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে ঠান্ডা জনিত রোগের খবর এখনো পাইনি। গেল ৪-৫ দিনের শীতের তীব্রতায় বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের কাবু করে বসে শীত। জেলার রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদী পাড়ের উত্তরভাগ, ফতেপুর ইউনিয়ন, আখাইলকুড়া ও মনুমূখ ইউনিয়নের অবহেলিত মানুষদের খড় দিয়ে আগুন পুহাতে দেখা যায়। এই কঠিন সময়ে শীতের তীব্রতায় যাতে কাবু করতে না পারে তাই মানুষেরা গবাদি পশুদের সাবধানে আগলে রেখেছেন। মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আসনগুলো গেল ক’দিনে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত শিশু রোগী ও বয়োবৃদ্ধদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। হসাপাতালের শিশু বিভাগে সোমবার গেলে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডের সব আসন পরিপূর্ণ রয়েছে। অতিরিক্ত আরো ১শ’র অধিক শিশু রোগী নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় আসন পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অভিভাবকেরা। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডাঃ আহমেদ ফয়ছাল জামান বলেন, “হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি। এর বেশী কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন,“অফিস টাইমে আইসেন বিস্তারিত বলবো”। |