৯৯ হাজার ৫শ টাকাসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার
টাকা লুট হয়েছিল বড়লেখায় দিনেদুপুরে
আর ২ জন গ্রেফতার হলো সিলেট থেকে
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় সংঘটিত দস্যুতার ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বাদীর মোবাইল ফোন, নগদ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, দস্যুতায় ব্যবহৃত দা, মোটরসাইকেল, হেলমেট ও অপরাধকালে পরিহিত জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১ টায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং -এ এ তথ্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী আব্দুল আহাদ গত ৩০ জুলাই দুপুর সাড়ে বারোটায় পূবালী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন তার মেয়ে সুহাদা আক্তার এর ভ্যানেটি ব্যাগে রক্ষিত নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২ লক্ষ যোল হাজার টাকা নিয়ে বাদী মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শিমুলিয়া নামক স্থানে পৌছালে ২ টি মোটরসাইকেলে করে আসা ৪ জন দস্যু পথরোধ করে। তারা বাদী ও তার মেয়ে সুহাদার আক্তার এর গলায় ধারালো দা ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সঙ্গে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। যার মধ্যে ওই টাকাগুলো সহ একটি স্যামসাং স্মার্ট মোবাইল ফোন, দুই ভরি রুপার চেইন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ছিল।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে বড়লেখা থানায় দস্যুতার অভিযোগে নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়। (মামলা নম্বর ১৭, তারিখ ৩০/০৭/২০২৫)
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন’র নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ অ্যাজমল হোসেনের নেতৃত্বে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস, এএসআই ফজলে আজিম, এএসআই সুলতানসহ কয়েকজনকে নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গত ১ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে ঘটনায় জড়িত ২ জন আসামীকে শাহপরাণ থানাধীন কাজিরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুলাউড়া উপজেলার ও বর্তমান সিলেট শহরের টিকরপাড়া এলাকার সেলিম আহমদ ওরফে অনিক ৫ ভটলা সেলিম (৩৭), ও সিলেট শহরের শাহপরান থানার মীর মহল্লা এলাকার মানিক মিয়ার পুত্র সাকিব আহমদ (২৫)।
তিনি আরও বলেন , গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং মামলার বাদী উক্ত আসামীদের সনাক্ত করেছেন। আসামীদের আরো জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের সহযোগী অপর পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে, যাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রেস ব্রিফিং-এ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, মৌলভীবাজার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেমসহ অনেকে।