জো বাইদেনের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত আর বাইদেন নিজেও তার বিজয়ে খুবই আস্তাশীল। শনিবার ৭ নভেম্বর বাইদেন নিজেই বলেছেন যে, এ প্রতিযোগীতায় তার দলই আগে থাকবে। কারণ পুরো দেশ, তারা ডেমোক্রেটদের সাথেই রয়েছে। বাইদেনের নিজের কথার উল্লেখ করে আজ শনিবার ৭ নভেম্বর আন্তরজাতিক মানের প্রভাবশালী বাংলা আনন্দবাজার পত্রিকা তাই লিখেছে। বাইদেনের বিজয়ের কারণ নিয়ে আনন্দবাজার তাদের বিশ্লেষণে লিখেছে যে পেনসিলভানিয়ায় জো বাইদেন আগে রয়েছেন এবং নেভাদা-জর্জিয়া ও আরিজোনায় বিজয় তার মুঠোতেই রয়েছে।
‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর দেয়া সর্বশেষ তথ্যের উল্লেখ করে আনন্দবাজার লিখেছে যে, ২৮হাজার ৮৩৩ভোটে পেনসিলভানিয়ায় বাইদেন এগিয়ে আছেন। এ ছাড়াও মিসিগান ও উইসকনসিন রাজ্যেও বাইদেনের দল ডেমোক্রেটগন জিৎ পেয়েছেন। জো বাইদেন এ পর্যন্ত গণনায় ২৫৩টি ইলেক্টোরেল কলেজের ৪০লাখেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। অন্য পক্ষে ডোলাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরেল কলেজের ভোট। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে ট্রাম্পের সাথে বাইদেনের ব্যবধান বাড়ছে আর ট্রাম্প পেছনে পড়ছেন। এখন বাকী রয়েছে জর্জিয়া, আরিজোনা ও নেভাদা। এ দিকেই তাকিয়ে আছে শুধু আমেরিকা নয় গোটা দুনিয়ার মানুষ, লিখেছে আনন্দ বাজার।
ট্রাম্পও একেবারে ছেড়ে দেয়ার মানুষ নন। ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি মামলাও ইতিমধ্যেই করেছেন এবং আদালত তার মামলা শুনানীর পর খারিজও করে দিয়েছে। কিন্তু তিনি ছাড়ার মানুষ নন। তিনি বলেছেন তার প্রতিনিধিদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আর পোষ্টাল ভোটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে তার বিজয়কে হারিয়ে দেয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত তিনি মামলা থেকে সরে আসবেন না।
অন্যদিকে বাইদেন জোর দিয়েই বলেছেন ৩শতেরও বেশী ইলেক্টরেল কলেজের ভোট তাদের পক্ষেই আসবে। তাদের এ বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি গোটা আমেরিকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।-হারুনূর রশীদ |