মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বৃটিশ এয়ারওয়েজের কাছ থেকে ১৮৩.৪ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। কম্পুটারে হেকিং এর জন্যই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আইনে এই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বৃটেন। এই হেকিং-এ প্রায় ৫লাখ মানুষের গোপনীয় ডাটা প্রকাশ হয়ে পড়ে। এ ব্যবস্থা নেয়ার ফলে কোম্পানীগুলো তাদের হেকিং বিরুধী ব্যবস্থা খুবই জোরদার করবে।
বৃটেনের তথ্য কমিশনার অফিস সোমবার এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানান। গত বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৫লাখ গ্রাহক এ ডাটা চুরির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বৃটিশ এয়ার ওয়েজের একজন অভিবাবক জানান জরিমানার এ পরিমান কোম্পানীর গত ২০১৭সালের মোট ব্যবসার শতকরা ১.৫ভাগ হবে।
বিএ কোম্পানীর আইসিও জানান এই হেকিং-এ এয়ার ওয়েজের ওয়েবসাইট দর্শকদের একটি মিথ্যা জালিয়াত সাইটে নেয়া হয় যেখানে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিবরণ সংগ্রহ করা হয়। নিম্নমানের লগিং ব্যবস্থার কারণে গ্রাহকদের অর্থপরিশোধের কার্ডের বিবরণ ও ব্যক্তিগত ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে নেয় জালিয়াত চক্র।
আইসিও থেকে পাওয়া প্রাথমিক এ তথ্যে আমরা আশ্চর্য্য ও হতাশ হয়েছি বলেছেন বৃটিশ এয়ার ওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেক্স ক্রুজ। এ ঘটনায় লন্ডনে আইএজি শেয়ারমূল্য বেলা ১২:১৩টায় ৪৪৯.৯পেন্স নেমে যায়। কোম্পানীর আইসিও এক তথ্য বিরবনীতে জানান যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এয়ার ওয়েজের সামগ্রিক অবস্থা সযত্নে দেখা হচ্ছে।
বৃটিশ এয়ার ওয়েজ প্রথমে বলেছিল তাদের সামগ্রিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা ২১শে আগষ্ট থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেকিং এ পড়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৩লাখ ৮০হাজার লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হেকিং ছিল খুবই সুনিপুণ, বিদ্বেষপরায়ণ ও অপরাধপূর্ণ বলে জানান আলেক্স ক্রুজ। ওই সময় গ্রাহকদের তাদের নিজেদের ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তখন আরো বলা হয়েছিল ওই হেকিং-এ ভ্রমণ ও পাসপোর্ট বিবরণ চুরি যায়নি। সূত্র: ব্লুমবার্গ